অর্পিত বা ভিপি সম্পত্তির ফাঁদে ফেলে পৈত্রিক ভিটে বাড়ির ১ একর ৬৬ শতাংশ বাস্তভিটা ও ভোগদখলিয় জমি থেকে নির্যাতন, মামলা, হামলা করে এবং জীবন নাশের ভয় দেখিয়ে স্কুল শিক্ষকের পরিবারকে উচ্ছেদ করে দিয়ে জমি দখলে নিয়েছে প্রভাবশালী একটি হিন্দু সম্পত্তি দখলকারি চক্র।
চরম অমানবিক, করুন এ ঘটনাটি বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের স্বর্গীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্র নাথ মিস্ত্রীর ছেলে গৌরাঙ্গ রায়ের বাড়িতে ঘটেছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল দক্ষিন রাজাপুর গ্রামে গেলে ভুক্তভোগী গৌরাঙ্গ লাল মিস্ত্রী, তার বৃদ্ধা মা ও পরিবারের লোকজন কান্না বিজরিত কণ্ঠে অভিযোগ করেন, শরনখোলা উপজেলার জে,এল ৭ নং দক্ষিন রাজাপুর মৌজার এস,এ,৪৯০নং খতিয়ানের এবং এস,এ, ২০৫৬নং দাগের ১ একর ৬৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৪২ শতক জমি বাস্তভিটা ও ১ একর ২৪ শতাংশ বিরান ভুমি ২০১২ সালে প্রকাশিত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপন আইনের ‘ক’গেজেটে প্রকাশ করানো হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে তিনি তার জমি রক্ষার জন্য বাগেহাটের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপর্ন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলাও করেছেন। সে মামলাটি চলমান থাকা এবং ওই জমির ডিসিআর গৌরাঙ্গ মিস্ত্রীর নামে হাল নাগাদ থাকার পরেও সে জমি থেকে তাকে উপর্যপরি ভাবে হামলা, মামলা ও জীবন নাশের ভয় ভীতি দেখিয়ে পৈত্রিক ভিটেবাড়ি থেকে তারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে শরনখোলা উপজেলা, থানা ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসক এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনারে কার্যালয়ে একাধিক মামলা চলমান থাকা এবং গৌরাঙ্গ মিস্ত্রীর পক্ষে রায় থাকা সত্বেও স্থানীয় মৃত হাসেম তালুকদারের ছেলে কাঞ্চণ আলী তালুকদার এবং কাঞ্চণ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার, মেহেদী হাসান সহ আরো কিছু চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা গৌরাঙ্গ লাল মিস্ত্রীর জমির পাকা ধান জোর পূর্বক কেটে নিয়ে যায়। জমি কেটে একটি মাছের ঘেরও নির্মান করেছে তারা। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা সহ্য করতে না পেরে থানা পুলিশের কাছে প্রতিকার প্রার্থনা করতে গিয়ে পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন গৌরাঙ্গ মিস্ত্রীর বৃদ্ধ পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্র নাথ নাথ মিস্ত্রী। নিজের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে ভুক্তভোগী পরিবারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বাগেরহাট জেলায় বর্তমানে ডিসি, এসপি এবং অধিকাংশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ার পরও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের
উপর অত্যাচার, নির্যাতন দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে উক্ত কর্মকতারা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর কোনো তাগিদই অনুভব করছেন না!