আজ পার্বত্য শান্তি চুক্তি দিবস। প্রতি বছর দিবসটি ঢাক ঢোল পিটিয়ে উদ্যাপন করা হলেও এবার তার ভিন্ন। মুসলিম উম্মার পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী আজ ২ ডিসেম্বর হওয়ায় সকল কার্যক্রম এবং কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পরের দিন ৩ ডিসেম্বর ঘটা করে পালিত হবে দিবসটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী আদিবাসীদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আদিবাসীদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সাথে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তৎকালীন চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় একসময়ের অশান্ত পার্বত্য অঞ্চল শান্ত করে সশস্ত্র শান্তি বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আত্মসমর্পণে রাজী করাতে সক্ষম হয়েছিলেন দক্ষিণ বাংলার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বর্তমান বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। সেদিন থেকে প্রতিবছর এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে জাতীয় পার্বত্য শান্তি চুক্তি দিবস হিসেবে। বিশেষ করে বরিশালে এই দিনটি একটু বেশী উদ্দিপনার সাথে পালন করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এবারও এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। এ উদ্যাপনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে দিবসটির প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি রেকর্ড সাইজের বিশাল ব্যানার। বরিশাল মহানগর আ.লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল জানান, আজ শনিবার পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবীর ধর্মীয় ভাগগাম্ভির্য রক্ষায় বরিশালে কাল রোববার পাবর্র্ত শান্তি চুক্তির দুই দশক পূর্তি উৎসব পালন করা হবে। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যেগে বর্ণাঢ্য শোভাযাাত্রা বের হবে। এছাড়া জেলার ১০ উপজেলা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী স্বতস্পূর্তভাবে শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। এদিকে শোভাযাত্রা সফল করার জন্য আওয়ামীলীগ ও অংঙ্গ সংগঠনগুলোর মধ্যে চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পাবর্ত্য শান্তি চুক্তির প্রনেতা সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির নিজ জেলা বরিশালে ব্যাপক কর্মসূচীর মাধ্যমে দুই দশক পূর্তি পালন করা হবে বনার্ঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে। তোরন, ফেষ্টুন ও রং-বেরংয়ের পতাকা দিয়ে বরিশাল নগরীর সড়কগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আলোকসজ্জা করা হয়েছে নগরীর গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায়। বরিশাল জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, পার্বত্য শান্তি চুক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের একটি অন্যতম অর্জন। পাশাপাশি আমাদের বরিশালবাসীর জন্যও এটি গর্বের বিষয়। কারণ আমাদের সবার প্রিয় নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নিরলস পরিশ্রমের ফলেই শান্তি চুক্তি সম্ভব হয়েছিলো। ফলে অশান্ত পাহাড়ি জনপদে যেমন শান্তি ফিরে এসেছে, তেমনি আদিবাসী পাহাড়িরাও ফিরে পেয়েছে তাদের ন্যায্য অধিকার। ব্যানারটি স্থাপনের মাধ্যমে সেই সোনালী ইতিহাসটিই আমি বরিশালবাসীর সামনে ফুটিয়ে তুলেছি।