ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অসাধারণ উদাহারণ বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে আন্তঃধর্ম ও ঐকতানের প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলে জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
শনিবার সকালে তেজগাঁওয়ে মাদার টেরিজা হাউজ পরিদর্শনে যান পোপ। সেখানে হলি রোজারিও চার্চে খ্রিস্টান যাজক, ধর্মগুরু ও ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
পোপ বলেন, ঈশ্বরের কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করবে যাতে তিনি বীজকে শুভ রাখেন, কারণ তিনিই বীজ তৈরি করেছেন। বীজকে এমনভাবে পরিচর্যা কর, যাতে তা ঈশ্বরের আত্মজ্ঞান হিসেবে প্রতীয়মান হয়। কারও সম্পর্কে নিন্দা করা একটি মানুষের একটি ত্রুটি। পিছনে কথা বলা সমাজের শান্তি বিঘ্নিত করে। পরনিন্দা করা এক ধরনের সন্ত্রাসবাদ, কারণ যেমন পরনিন্দা আড়ালে হয়ে থাকে তেমনি সন্ত্রাসবাদও। কোন মানুষকে অপছন্দের কথাটি যদি সম্ভব হয় মুখের সামনে বলে দাও, যদি তা না পারও তাহলে এই কাজে সহায়তা করতে পারে এমন শুধু একজনকে বলবে, আর কাউকে নয়।
ভাষণের পর চার্চের কবরস্থান পরিদর্শন করেন পোপ ফ্রান্সিস। ঢাকায় শেষ দিনের কর্মসূচিতে দুপুরের পর নটরডেম কলেজে তরুণদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন পোপ।