পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী মুকুল রায় আজ সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তৃণমূল গড়া থেকে এ অবধি তৃণমূলের সঙ্গী ছিলেন এই মুকুল রায়। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস ভেঙে জন্ম হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। মুকুল রায় এখনো ভারতের আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য বা সাংসদ।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে মুকুল রায় নিজাম প্যালেসে সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা দেন। একই দিন দুপুরে আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলবিরোধী কাজের জন্য মুকুল রায়কে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করেন।
মুকুল রায় তৃণমূলের টিকিটে ২০১২ সালে ৩ এপ্রিল রাজ্যসভার সদস্য হন। ২০১২ সালের ২০ মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী করেন। দলের সর্বভারতীয় কমিটির তিনি ছিলেন সহসভাপতি। মমতার পরই স্থান ছিল তাঁর দলের ভেতর। খুচরা ব্যবসায়ে বৈদেশিক বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে তৎকালীন মনমোহন সিং সরকারের সঙ্গে বিরোধ বাধলে মমতা ইউপিএ সরকার ছাড়েন। তখনই চলে যায় মুকুল রায়ের রেলমন্ত্রিত্ব।
সারদা অর্থ কেলেঙ্কারি, নারদ ঘুষ কেলেঙ্কারিতে উঠে আসে মুকুল রায়ের নাম। এতে মমতা অস্বস্তিতে পড়েন। এর জেরেই মমতার সঙ্গে মুকুল রায়ের দূরত্ব তৈরি হয়।
তৃণমূল ছাড়ার কারণ হিসেবে মুকুল রায় বলেন, পূজার পর তিনি রাজ্যসভার সদস্যপদে ইস্তফার দিন তিনি বিস্তারিত জানাবেন। কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি দলের সাধারণ সদস্যপদ ছাড়বেন।