নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে মহামারী করোনার মধ্যে আসন্ন ২১ জুন স্থগিত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে সংক্রামনের ভয়ে আতংকিত হয়ে পরছে গ্রামাঞ্চলের সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। প্রতিদিনই গ্রামে গঞ্জে করোনার প্রকোপ হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচনে আরো সংক্রামনের আতংকে রয়েছেন তারা। বিশেষ করে উজিরপুরের সাতলায় করোনায় ১ জনের মৃত্যুর পর নতুন করে সংক্রামন বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন না প্রার্থির কর্মি সমর্থকরা। এছাড়া ভোটাররদের মধ্যেও নির্বাচনী উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচেছ না। করোনার মধ্যে নির্বাচন স্থগিতরাখার বিষয়টি পূন বিবেচনারও দাবী জানান অনেকে।
সূত্র জানায় গত ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের ৩৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে নির্বাচনের আগ মূহুর্তে তা ’স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এতে সাধারন মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে গত ২ জুন ’স্থগিত হওয়া ৩৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদের পূনরায় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করে নির্বাচন কমিশন। তবে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আগামী ২১ জুন দেশের ২০৪টি ইউপিতে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। করোনা মহামারী আঁকার ধারন করায় খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের বাকি ১৬৭ টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়। বর্তমানে এসব এলাকাসহ গোপালগঞ্জ ও এর পার্শ্ব বত্তি এলাকায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে উজিরপুরের সাতলা গোালগঞ্জের পার্শ্ববত্তি ও সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সাতলায় করোনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিত্সাধীন আছে আরো প্রায় ২০ জন। করোনার প্রকোপের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বর্তমানে প্রতিদিনই গ্রামে গঞ্জে করোনার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। এ কারনে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই সাধারন মানুষের। এমনকি বিভিন্ন প্রার্থিক কর্মি সমর্থকরাও অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পরেছেন। করোনার কারনে তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট চাইতে সংকোচ বোধ করছেন। এমনকি ভোটারাও কর্মি সমর্থকদের সামনে আসতে চাইছেন না। এতে করে নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে বিরুপ মনোভাবের সৃস্টি হয়েছে। ফলে আসন্ন ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবনার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থি খায়রুল বাশার লিটন বলেন, দিন দিন গ্রামাঞ্চলে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচেছ। গত শুক্রবার সকালে সাতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো : হালিম হাওলাদার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তিরত অবস্থায় মারা গেছেন। একই ইউনিয়নের ব্যাবসায়ী সালমান বিশ্বাস ও নজরুল ইসলাম বিশ্বাসসহ ১৫ থেকে ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার আতংক বাড়ছে। এতে করে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছছেন না। একই ভাবে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সেসব বাড়ির লোকজনও ঘর থেকে বের হচেছন না। ফলে আসন্ন নির্বাচনে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রচার প্রচারনা চালানো যাচছে না। ফলে অংশ গ্রহন ও ত্রতিদ্বন্ধিতামুলক নির্বাচন নিয়ে মানুষ আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলছে। তিনি বলেন অন্য যে সব প্রার্থি নির্বাচনী মাঠে ছিলেন করোনার কারনে তাদের কর্মি সমর্থকরা এখন মাঠে নেই বললেই চলে। ফলে মহামারী করোনার মাঝে জনগনের স্ব:তস্ফুর্ত অংশগ্রহন মুলক নির্বাচন হবে বলে মনে হচেছনা।
একাধিক ইউনিয়নের প্রার্থি ও তাদের সমর্থকরা জানান, করোনার প্রকোপের মঝে নির্বাচন হলেও জনগণের অংশগ্রহনমুলক নির্বাচন হবে না। তাই আগের মতো নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন বন্ধের বিষয়টি পূনর্বিবেচনা করা উচিত।
Share