অমৃত যাঁর নাম
( দানবীর অমৃত লাল দে’র জন্ম জয়ন্তী স্মরণে)
————————০
“টুনু কর্মকার”
যে শিশুটি জন্ম নিল
দুঃখ-কষ্ট আর অর্থ দৈণ্যতায়,
কে জানত বড়ো হয়ে
ওই শিশু দেশ করবে জয়।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে
জীবন যুদ্ধের বাজি ধরে
নানা দুঃখে নানা কষ্টে
পেয়েছেন বহু তিরস্কার ;
তবু্ও তিনি ভাবতেন–
সমকষ্টে হয়না যেনো
আর কেউ এর ভাগিদার।
.
তাই তো মনে মনে নিলেন প্রতিজ্ঞা
শূন্য থেকে শুরু করে–
হলেন সবার দৃষ্টিনন্দন এক বড়দা!
একটু একটু করে যখন সবাই জানতে পায়
তবুও তিনি নিরব ছিলেন —
দানের বিষয়…
জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে
আসতো যখন কাছে ;
ধৈর্য ধরে শুনতেন সবই
সকল মানুষ সম ভাবনা মনে।
পুঁথিগত বিদ্যা ছিলনা তাঁর
ছিলনা বড়ো বড়ো ডিগ্রি ;
তাই তো তিনি ব্যয় করেছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে–
ধরেছেন জীবনযুদ্ধের বাজি,
এভাবেই শপথ নিলেন…
আজন্ম দেবেন শিক্ষার প্রসার
অন্য কারো হয়না যেন
আমার মতো কষ্টের ভাগিদার।
‘কর্মই ধর্ম’ মনে রেখে
সমাজ করেছেন মহিয়ান,
তাই, সবার কাছে আজও…
শিক্ষানুরাগী, দানবীর, সমাজসেবক
মানব প্রেমিক — অমৃত লাল।
মহৎ কর্ম, সত্যিই ধর্ম,
এই ছিল তার দীক্ষা !
তাই তো তিনি ব্রতী ছিলেন–
আর্ত-পীড়িত মানবতার সেবায়
মিলবে শ্রষ্টার ভিক্ষা।
—–_——_—–
বরিশাল : ২৬/০৬/২০২১