নিজস্ব প্রতিবেদক : উজিরপুরের সাতলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃৃস্টি ও জমি দখলসহ নানান অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ। সরকারী খালে বাধ দিয়ে জোরপূর্বক মাস চাষ ও ভুমি দখলসহ নানান অপকর্মের হোতা মাসুম বিল্লাহ। সাদিক আব্দুল্লাহর কাছের লোক দাবী করায় এলাকার কেউই তার ভয়ে অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলছে না। মাসুম বিল্লাহ সরকারী খালে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করায় ও তার খামখেয়ালীর কারনে হাজার হাজার কৃষকের ভাগ্য এখন পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। আসন্ন ইরি বোরো মৌসুমে তারা জমিতে ফসল ফলাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শংসয় প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। তবে মাসুম বিল্লাহর অপকর্মের বিষয়টি নিয়ে নব নির্বাচিত সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো : শাহিন হাওলাদারের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ করায় বিষয়টির সমাধান নিয়ে তিনিও বেশ বিব্রত। তবে তিনি এর সুষ্ঠ সমাধান দেবেন বলে জানান।
সূত্র জানায়, গত দু দিন আগে সাতলা ইউনিয়নের শিবপুরে জনৈক মেহেদী হাসানের ভোগ দখলীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করতে গেলে মাসুম বিল্লাহ ঘর উত্তোলনে বাধা দেন এবং উ”েছদের হুমকি দেন। মেহেদী হাসানের পক্ষে ওই এলাকার বাসিন্দা বদিয়ার বক্তিয়ার জানান, শিরপুর মৌজার ৬ বিঘা জমি ক্রয় সূত্রে মালিক মেহেদী হাসান গং। দীর্ঘ দিন ধরে তারা ওই জমি ভোগ দখলে রয়েছেন। সম্প্রতি মেহেদী হাসান তাদের জমিতে থাকা একটি জরাজীর্ন বসত ঘর সংস্কার করতে গেলে মাসুম বিল্লাহ ঘর সংস্কারে বাধা দেন। এসময় মাসুম বিল্লাহ বলেন ঘর তুলতে গেলে তাকে চাঁদা দিতে হবে।
একই এলাকার বাসিন্দাহাফিজুর হাওলাদার বলেন, আমরা মাসুম বিল্লাহর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। মাসুম বিল্লাহ নিজেকে সাদিক আব্দুল্লাহর লোক দাবী করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি বলেন, মাসুম বিল্লাহ জমি দখল, সরকারী খাল দখলসহ নানান অপকর্মের হোতা। তার ভয়ে এলাকাবাসী অতিংকিত।
একই ভাবে ফায়জুল হাওলাদার, সালেক শেখসহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি মাসুম বিল্লাহর অপকর্মের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তারা মাসুম বিল্লাহর অত্যাচাওে অতিষ্ঠ। ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন জমিদখল ও সরকারী খাল দখল করে মাস চাষ করায় এলাকার শত শত কৃষকের অপুরনীয় ক্ষতি হ”েছ। তিনি বলেন, সরকারী খালে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করায় আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে এলাকার শত শত কৃষকরা নৌকা যোগে ফসল তুলতে পারবে না। তিনি বলেন সরকারী খালে বাধ দেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন হ”েছ না। একই ভাবে ইরি-বোরো মৌসুমে জমির পানি কমবে না। ফলে এলাকার শত শত বিঘা জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকবে। ফলে আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে ধান চাষ নিয়ে শংতিক কৃৃষকরা। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও ওসিকে অবহিত করার পরও মাসুম বিল্লাহ তার অপকর্ম বন্ধ করছে না।
এ বিষয়ে ¯’ানীয় শিবপুরের ইউপি মেম্বর মো : শাহিন জানান, মাসুম যেহেতু সাদিক ভাইয়ের এপিএস তাই তার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।