আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিয়ম মেনে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এলে বিএনপিকে স্বাগত জানাবে সরকার।
রবিবার বিকালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে জরুরি মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে সরকার ও আওয়ামী লীগ। ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির উচিত এই বাহিনীকে নিয়ে রাজনীতি না করা।
শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে পানির সমস্যাও মোটামুটি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্যানিটেশন, পানি ও বাসস্থান সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হচ্ছে। বাকি সমস্যার সমাধান করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিজ দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের নির্যাতনে সহায়-সম্বল হারিয়ে প্রাণ বাঁচাতে তারা আশ্রয় চেয়েছে রোহিঙ্গারা। নিজেদের অনটন থাকলেও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একটি চক্র রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছিল। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সেই ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সহায়-সম্বল হারানো রোহিঙ্গাদের যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন, সেহেতু তার সে কথার সফল পরিণতি হওয়া চাই।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।