উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উপলক্ষে মেলায় যে দোকান বসেছে সেই দোকানের ভাড়া চাইতে গিয়ে কাটাকাটি, একপর্যায়ে শ্রী দুর্জয় বর্মনকে পথে একা পেয়ে মোঃ জাহিদুল দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে! বর্তমানে সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন!
প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটেছে টাংগাইল জেলার, মধুপুর থানার, ১০ নং ফুলবাগচালা ইউনিয়নের সীমান্তে। ০৬/১০/২০২২ খ্রিঃ তারিখে আনুমানিক দুপুর ১.৩০ মিঃ সংখ্যালঘু হিন্দুকে রাস্তায় দেশীয় দা, লাঠি দিয়ে দোখলা মন্দিররের পশ্চিম পার্শে সাইনামারী গ্রামের রাস্তায় জাহিদুলের(২৫) বাড়ির সামনে রাস্তায় দা দিয়ে কোপানো হয়েছে এবং লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়েছে। মন্দিরে দূর্গা পুজা উপলক্ষে মেলা বসে প্রতি বছর। মন্দির থেকে দোকানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এবং দোকান ভাড়া দেওয়া হয়। বিজয়াদশমীর দিন বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া উঠানো হয় সবাই ভাড়া দেয় কিন্তু জাহিদুল কাছে ভাড়া চাইলে সে বলে পরে দিবে। পরিচিত হওয়া সবাই মেনে নেয়। তার পাশের দোকান থেকে টাকা উঠাতে চাইলে সেই দোকানদার ভাড়া দিতে গড়িমসি করে। তার সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে মোঃ জাহিদুল ওই দোকান্দারের পক্ষে কথা বলে এবং উল্টো কমিটির সাথে খারাপ আচরন করে। তারপর ওই লোক নিজে থেকেই টাকা দিয়ে দেয়। জাহিদুলের সাথে উক্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হয়। কিন্তু জাহিদুল মন্দিরের যুব কমিটির দুর্জয় বর্মন কে হুমকি দেয় আগামীকাল তোমাকে দেখে নিবো। জাহিদুল ও তার বাবা কে বুঝিয়ে বিষয়টি সমাধান কর হয়। কিন্তু দুপুরে দুর্জয় বর্মন রাস্তা দিয়ে বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে তার পথ অবরোধ করে জাহিদুল ইসলাম।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সাথে ছিলো জাহিদুলের পিতাঃ আব্দুস সাত্তার(৫৫), জাহিদুলের মাতাঃ জাহানারা বেগম ও জাহিদুলের বন্ধু মোঃ বিপ্লব সরকার(২৩)। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জাহিদুল দুর্জয় কে দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। লাঠি দিয়ে আঘাত করে মোঃ বিপ্লব সরকার ও আব্দুর সাত্তার। তারপর এলাকার গ্রাম বাসী মিলে দুর্জয়কে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা অবনতি হলে উপজেলা হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। তারপর স্থানীয় জনতা মিলে জাহিদুল ইসলাম ও তার বাবা সাত্তার কে পুলিশে দেয় কিন্ত মোঃ বিপ্লব সরকার পালিয়ে যায়। পুলিশ মামলা নেয়।