বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে তার ছাপও পড়বে। তবে শরীরে বয়সের ছাপ আটকানোর উপায় আছে।
দৈনিক সাত ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত প্রয়োজন। সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও অনেকে রাত জেগে ফোন ব্যবহার করেন বা সিনেমা দেখেন। এ সব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা হাঁটুন।মৃদুগতিতে না হেটেঁ জোরে জোরে হাটুঁন তাহলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভাল হয়। ফলে শরীর হয়ে ওঠে ঝরঝরে আর অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সূর্যের রশ্মি মুখে পড়লেই বয়সের ছাপ পড়ে যায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। আর চেষ্টা করুন সূর্যের আলো থেকে যতটা ত্বককে যতটা সম্ভব রক্ষা করতে।
অযথা কপাল বা চোখ-মুখ কুঁচকাবেন না। এতে তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে যেতে পারে। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে এখনই সেটা ছেড়ে দিন। অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার বেশি করে খান। যেমন-পাকা কলা, পাকা পেঁপে, পাকা আম, পাকা পেয়ারা, দই, ছানা, দুধ, ডিম, টাটকা শাকসবজি ইত্যাদি।
সর্বদা ইতিবাচক থাকুন। নানা ওঠাপড়া নিয়েই জীবন। মনে স্ট্রেস সৃষ্টি হলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন বের হয়, যা শরীরে টক্সিন ছড়ায়। কোনও কারণে মন খারাপ হলে বা খুব স্ট্রেস হলে চেষ্টা করুন জীবনের সুন্দর অভিজ্ঞতাগুলির কথা মনে করতে। বিষণ্ণতাকে মাথায় চড়তে দেবেন না। ভাল গান শুনুন। অবসরে পছন্দের কাজ করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে মন খারাপ কাটিয়ে উঠতে পারছেন।