তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়েপ এরদোয়ানকে হত্যচেষ্টার অভিযোগে সেনাবাহিনীর সাবেক ৪৩ সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিমের নগর মুগলার আদালত বুধবার এ রায় দেয়। দোষী সাব্যস্ত ৪৩ জনের বেশিরভাগকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে ১৫ জুলাই ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের রাতে এরদোয়ান ও তার পরিবার এই মুগলার কাছেই একটি বিলাশবহুল হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
একদল বিদ্রোহী সেনা সেখানে হানা দেওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে পরিবার নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন এরদোয়ান।
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী ৪৭ সেনার বিচার শুরু হয়। বুধবার ৪৩ জনের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক আমিরশাহ বাস্তোগ।
তিনি বলেন, “আশা করছি আজকের এই রায় সবার জন্য লাভজনক হবে।”৪৩ জনের মধ্যে ৪১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন তিনি। বাকি দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় একজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অনুপস্থিত বাকি তিন জনের রায় ঘোষণা করা হয়নি, যাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন।
সাজাপ্রাপ্তদের একজন তুরস্কের বিমান বাহিনীর সাবেক লেফ্টেন্যান্ট আরগুন শাহিন। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম আদালত ন্যায় বিচার করবে না এবং রাজনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করে রায় দেবে।”
“গত বছর ১৬ জুলাই বিমান ঘাঁটি থেকে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারপর থেকে তারা আমার সঙ্গে একজন অপরাধীর মত ব্যবহার করছে।”
ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর প্রকাশ পাওয়া ছবিতে অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে দেখা যায়, যাদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনও ছিলেন। ছবিতে শুধু আন্ডারপ্যান্ট পরা ওইসব সেনা কর্মকর্তাদের হাতে হাতকড়া এবং মুখমণ্ডল থেঁতলানো দেখা গেছে।