৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ও ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে। সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
দুই বিসিএসের ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ও ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল চলতি অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
ফলাফল প্রকাশে এত দেরি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ফলাফল প্রত্যাশীদের ভালোর জন্যই আমাদের দেরি হচ্ছে। আমরা চাই না কারও ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থাকুক। এ জন্য আমাদের নিখুঁতভাবে ফলাফল যাচাই বাছাই করছি। এই ফলাফল নিয়ে পরবর্তী সময়ে যেন কথা না ওঠে, এ জন্য আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি।’
৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে হবে, জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘৩৮তম বিসিএসে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। আমরা চেয়েছিলাম আগস্টের শেষ দিকে পরীক্ষা নেব। কিন্তু নিতে পারিনি। তবে নভেম্বরে নেওয়া হতে পারে। ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া গত ১০ জুলাই শুরু হয়, শেষ হয় ১০ আগস্ট।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৩৮তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের ৩০০, পুলিশ ক্যাডারের ১০০টি পদসহ ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০ টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদ থাকছে।
৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ৫ হাজার ৯৯০ জন উত্তীর্ণ হন। প্রথম শ্রেণির ২ হাজার ১৮০ জন গেজেটেড কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে ২০১৫ সালের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ৮ জানুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। ২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এতে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন মাত্র ১৩ হাজার ৬৭৯ জন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ১২ হাজার ৪৬৮ জন। চাকরি প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন ১২ মার্চ থেকে। তা শেষ হয় ৭ জুন।
অপরদিকে গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি এক হাজার ২২৬ পদের জন্য ৩৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৩০ সেপ্টেম্বর হয় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এতে অংশ নেন দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন। এর ফল প্রকাশ করা হয় ১ নভেম্বর। এতে উত্তীর্ণ হন ৮ হাজার ৫২৩ জন। এর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হয় লিখিত পরীক্ষা।