কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে জেলা যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে সংগঠন দুটির সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বর থেকে যুবদলের ব্যানারে প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি টাউন হলের প্রধান ফটক অতিক্রমকালে পুলিশ বাঁধা দেয়। বাঁধা উপেক্ষা করে যুবদল নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সদর রোড অতিক্রম করার চেষ্টা করলে পুনরায় বাঁধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে যুবদল নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। লাঠিচার্জে জেলা যুবদল সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক এইচএম তছলিমউদ্দিনসহ ৫ জন আহত হয়।অন্যদিকে যুবদলের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করার পরক্ষনেই টাউন হলস্থ দলটির কার্যালয় থেকে সেচ্ছাসেবক দলের মিছিল বের করার চেষ্ঠা করা হয়।এর নেতৃত্বে ছিলেন ১৮নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মীর জাহিদুল কবির,মাহাফুজুর রহমান পিন্টু,ও আমিনুল ইসলাম লিপনও বাবুগন্জ থানা যুবদলের সম্পাদক মহসিন
।পুলিশ প্রথমে বাধা দিলে পরে ছত্রভঙ্গ করতে পুনরায় লাঠিচার্জ করে।এতে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা লিপন,সাদী সহ ৪ জন আহত হয়।
এদিকে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারির প্রতিবাদে ছাতদল পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের করলে টাউন হলের প্রধান ফটকে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাদানুবাদ হলেও শেষ পর্যন্ত মিছিল করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে দুপুর ২টার দিকে নগরীর ফজলুল হক এভি্যনিউ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ইয়াছির আরাফাত মিন্টুর নেত্রীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং বাঁধা দেয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যরঞ্জন খাসকেল জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া মিছিল বের করায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলকে বাঁধা দেয়া হয়েছে।