মানুষ যত প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে ততই জীবনে বাড়ছে যোগের গুরুত্ব৷ ধীরে ধীরে ভারতের এই প্রাচীন যোগচর্চা ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিশ্বের কাছে৷ প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে যোগ দিবসের ব্যাপ্তি৷ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে দেরাদুনের ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হাজার মানুষের জমায়েতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণেও উঠে আসে সেই যোগ ব্যায়ামের আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তির কথা৷
মোদী জানান, গোটা বিশ্ব যোগকে আপন করে নিয়েছে৷ প্রতি বছর যোগ দিবস পালনের বহর দেখে তা পরিস্কার৷
তিনি বলেন, দেরাদুন থেকে দুবলিন, সাংহাই থেকে শিকাগো, জাকার্তা থেকে জোহানেসবার্গ সবাই যোগ ব্যায়ামে মজে৷ গোটা বিশ্বকে একসূত্রে বেধে রেখেছে যোগ৷
প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকার লড়াইয়ে স্ট্রেস, মানসিক ও শারীরিক সমস্যা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে তখন ২০১৪-র ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এ দিন মোদী বলেন, যোগা মানুষকে শান্তির খোঁজ দেয়৷ আজকের দ্রুত পরিবর্তনের যুগে যোগা শরীর, মস্তিস্ক ও আত্মাকে একসূত্রে বেধে রাখে৷ সুস্বাস্থ্য ও ভালো থাকার জন্য যোগা এখন অন্যতম গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে৷
যোগার বিশেষত্ব হল, এটি প্রাচীন কিন্তু আধুনিক৷ ভবিষ্যত দিশার আলো লুকিয়ে যোগায়৷ যোগার মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করে তার সমাধান সম্ভব৷ সেটা ব্যক্তিবিশেষেও হতে পারে কিংবা সমষ্টিগতভাবে৷
যোগাসনকে বরাবার গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি নিজেও যোগাভ্যাসের মধ্যে থাকেন৷ দেরাদুনে তিনি জানান, যোগাসন আসলে মানুষের স্বাস্থ্যবিমা৷ যোগাসন অভ্যাস দিনের শুরুকে ইতিবাচক করে৷
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি, কোটায় যোগ দিবস পালন করেছেন যোগ গুরু রামদেব৷ মুম্বইয়ে যোগ দিবস পালন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু, সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা৷