বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানেরশীষ নিয়ে লড়বেন সাবেক সফল মেয়র ৫বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড.মজিবর রহমান সরোয়ার ।নৌকা প্রতীক আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেছে। এখান থেকে ক্ষমতাসীন দলের হয়ে লড়বেন দলের মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক ।
খুলনা এবং গাজীপুরেও বিএনপি ২০১৩ সালে জয়ী মেয়রকে মনোনয়ন দেয়নি। গাজীপুরে বর্তমান মেয়র এম এ মান্নানের শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও খুলনার মেয়র মনিরুজ্জামান মনি মনোনয়নের বিবেচনাতেই আসেননি।
এই অবস্থায় ঘুরে ফিরে বেশ কিছুদিন ধরেই আসছিল সরোয়ারের নাম। তিনি প্রার্থী হলে নৌকা প্রতীকে সাদিকের সঙ্গে জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশাই করা হচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর বরিশাল সভাপতি শাহ সাজেদা বলেন, বিএনপিতে মজিবর রহমান সরোয়ার ও ‘আওয়ামী লীগে সাদিক আব্দুল্লাহ দুইজনেই দুই দলে শক্ত প্রার্থী। এই দুইজন নির্বাচন করলে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বরিশালে। হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন দেখবে বরিশাল নগরবাসী।’
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এসএম ইকবাল বলেন, ‘মজিবর রহমান সরোয়ার ও সাদিক আব্দুল্লাহ দুইজনেই জনপ্রিয় নেতা। এই দুইজন নির্বাচন করলে আকর্ষণীয় নির্বাচন হবে এবারে।’
বরিশাল মহানগরীতে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান দেখা গেছে ১৯৭৫ থেকে। আর সরোয়ারও এখান থেকে সংসদ নির্বাচন এবং সিটি নির্বাচনে জিতেছেন একাধিকবার।
২০০৮ সালে বিএনপির তিন প্রার্থী এবং একজন শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ভোট ভাগাভাগির সুযোগে নগণ্য সংখ্যক ভোটে জিতেন আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হীরন। তিনি পাঁচ বছরের মধ্যে নগরীতে দৃশ্যমান উন্নয়নও করেন। তারপরেও ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি ২২ হাজার ভোটে পরাজিত হন বিএনপির কামালের কাছে।
তবে হিরন হারলেও তিনি আগের নির্বাচনের তুলনায় বেশি ভোট পেয়েছেন। আর বিএনপির তখন একক প্রার্থী থাকায় পাঁচ বছর আগের মতো ভোট ভাগাভাগির সুবিধা আর তিনি পাননি।
বরিশালে আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানো হিরনের হাত ধরেই। কিন্তু ২০১৪ দশম সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস পর থেকে বরিশালে নেতৃত্ব শূন্যতায় পড়ে আওয়ামী লীগ। আর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার আত্মীয় আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ এই সময়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
সরোয়ার প্রার্থী হচ্ছেন-এই খবর চাওর হয়ে গেছে বিএনপিতে। জেলা যুবদলের সভাপতি বিপ্লব,সম্পাদ মামুন বলেন, ‘সরোয়ার ভাই যদি নির্বাচনে করে থাকেন, সেটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক। বিএনপির এই সিট আমরা পুনরায় বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দেব।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি লিপন সাধারণ সম্পাদক জনি বলেন, ‘আমাদের নেতা মজিবর রহমান সরোয়ার নির্বাচন করলে সেখানে জয়ের বিকল্প কিছু দেখছি না। আমরা সর্বোচ্চ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করব বরিশাল নগরী জুড়ে। এমনিতেই মজিবর রহমান সরোয়ারের জনপ্রিয়তা অনেক।’
বিএনপির বরিশাল দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আমরা প্রকাশ্যে সব কিছু করতে পারছি না। তবে আমাদের তৃনমূলের নেতা কর্মীরা ঠিকই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভোটের ঘাঁটি বিবেচনায় আমরা চুপচাপ বসে নেই।’