১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৮:১৮

বাংলার ভেনিস বরিশাল আজ দুর্ভাবনার নগরী

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ রবিবার, জুলাই ১, ২০১৮,
  • 601 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

কৃীতনখোলা নদীর পারঘেসে গরেওঠা বরিশাল বাংলার ভেনিস আমাদের এই শহর ঐতিহ্য দুইশত বছরের অধিক। চতুরদিকে পরিবিস্ট খাল আর খাল । সুন্দর আমাদের এ নগরী আগে ছিল পৌরসভা, পরে তা সিটি কর্পোরেশনে পরিণত করা হয়। এখানে বর্তমানে লোকসংখ্যা প্রায় দশলক্ষ ধনী, মধ্যবিত্ত উচ্চ শিক্ষিত লোকের বেশির ভাগের বাস এখানে। গরিব মানুষের সংখ্যাও অনেক। বিসিসির সূত্রে জেনেছি,   গরিব মানুষের সংখ্যা যেহেতু বেশি, তাই বস্তির সংখ্যা সর্বাধিক। উপরন্তু প্রতিদিনই মানুষ কাজের আশায় বরিশালে আসছে। এখানে রাস্তাঘাট প্রয়োজনের প্রায় অর্ধেক। তারও অধিকাংশই আবার ভাঙাচোরা। আবাসন, শিক্ষাঙ্গন বিনোদনের সংকট প্রকট

আর একটি পার্ক আছে। সেটি মাদকসেবি আর  বখাটে লোকে ভরপুর। তাই সাধারণ লোক তেমন যায় না সেখানে। মাদক বিক্রেতারা রাজনৈনিক ও কিছু অসাধুপুলিশের সহায়তায় হরদম ব্যাবসা করছে পানি, বিদ্যুৎ পয়ঃনিষ্কাশনের সংকট তীব্রতর। জলাবদ্ধতা, রাস্তা দখল, অপরিকল্পিত জরাজীর্ণ বাড়িঘর, ব্যাপক চাঁদাবাজি নিরাপত্তাহীনতা, ভয়াবহ যানজট ইত্যাদি বিদ্যমান। বায়ু দূষণের দিক দিয়েও বরিশাল ৪র্থ কেননা কয় একটি ঔষধ কারখানা শিল্প কারখানা শহরের মধ্যে অবস্তিত। কিন্তু কেন?

সব দলের নেতানেত্রী, এমপি, মেয়র, মন্ত্রীআমলারা তথা নামিদামি সকলেই রূপসীবরিশাল গড়ার কথা বলেন অহরহ। আর নির্বাচন এলে তো কথাই নেই। সকলেই বাংলাদেশের সেরা শহরে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দেন। বরিশালের ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য প্রধানত দায়ী সিস্টেমআর রাজনীতি। মেয়রকাউন্সিলরদের কাছে সুন্দর বরিশালর গড়ে তোলার প্রত্যাশা বরিশালবাসীর। কিন্তু তাদের এখতিয়ার নগণ্য তাই মেয়রের ভালো কিছু করার প্রবল ইচ্ছাও থাকতে হবে বরিশালের মেয়র আহসান হাবিব কামাল তার সময় কখনই তেমন উন্নায়ন হয়নি বরিশালে প্রথম মেয়র তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অবস্তায় সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন পায় তখন সে মেয়র কিন্ত উন্নায়ন ছিলনা এবারও হয়নি

প্রথম নির্বাচিত মেয়র এ্যাডঃ মজিবর রহমান সরোয়র বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রূপ বদলায় উন্নায়নের রূপকার  বরিশাল শহর রক্ষাবাধ ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ,টিটিসি ,নগর ভবন ,শিক্ষা বোর্ড,রেডিওসেন্টার,বিমান বন্দর,বাংলাদদেশ  ব্যাংক,ডায়বেটিক হাসপাতাল,হার্টফাউন্ডেশন,বিকেএসপি,বরিশাল বিভাগ, ড্রেন নির্মান ,রাস্তা প্রসারিতকরা, বহু শাখা রোড,খালখনন ,সিটি কর্পোরেশনের আয় বারাতে ১১টি মার্কেট নির্মান ,দপদপিয়াসেতু,ওয়াটারপ্লান্ট,বহু স্কুল মাদ্রসা নির্মান ,মন্দির থেকে অবৈধদখলদারদের তারানো এবং মন্দির প্রতিস্টা করা বহু গরিবদের পূর্নবাসস করা  পলাশপুর পূর্নবাসন কেন্দ্র নির্মান দ্বীতিয় সওকত হোসেন হিরন বরিশালকে সাজাতে তার জুরি মেলাভার কিন্তু বরিশালবাসীর দূর্ভাগ্য মেয়র হিসাবে আহসান হাবিব কামালকে পেয়ে আগামি নির্বাচনে তাই সবার দৃস্টি ভদ্র মার্জিত শিক্ষিত সর্বপারি সুন্দর মনের মেয়র এবং আমাদের  নগরকে সুন্দর সমস্য হীন করতে পারবে তেমন একজন মেয়র অভদ্র গোয়ার বা অসামাজিক মেয়র হলে আবার কাঁদতে হবে উন্নায়নের নামে লুটপাট হবে আমরা রাজনীতি যে দলেই করিনা কেন নগর পিতা চাই সুন্দর মনের একজন যে আমাদের নগরী কে বাংলার ভেনিসে রূপদেবে এই মন নিয়েই বাচাই করা উচিৎ একজন  নগর পিতা

বরিশালের যেখানেই যাবেন সেখানেই দেখতে পাবেন আবর্জনার স্তূপ। আবর্জনা রাখার কনটেইনারগুলোর অবস্থাও করুণ। অনেক ক্ষেত্রে ব্যস্ততম রাস্তার মাঝখানেই বসানো হয়েছে। কিন্তু আবর্জনা রাখা হয় কনটেইনারের ভেতরের চেয়ে বাইরেই বেশি। সেগুলো সরানো হয় না সহসায়। ফলে আবর্জনাগুলো রাস্তাজুড়েই পড়ে থাকে। এসব পচেগলে রস নিংড়ে পড়ে সমগ্র রাস্তায়। ফলে সৃষ্টি হয় মহাদুর্গন্ধ। কয়েক দিন পরপর কনটেইনারগুলোর ময়লা নিয়ে ফেলা হয় শহরের যেখানেই ফাঁকা পাওয়া যায় সেখানেই। এত করে সৌন্দর্য পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। তা থেকে অনবরত নির্গত গন্ধে মানুষের বিভিন্ন জটিল স্থায়ী ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে। মশামাছির বিস্তার ঘটছে ব্যাপক। উপরন্তু এই ময়লার অনেক অংশ ড্রেনের মধ্যে ঢুকে পড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দূষিত পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে রাস্তার ওপরই উপচে পড়ছে। সর্বোপরি বৃষ্টি হলেই পানি দ্রুত যেতে না পেরে গোটা শহর অথৈ পানিতে তলিয়ে যায়। তবুও ময়লা ড্রেন পরিষ্কার করার কাজটি নিয়মিতভাবে হচ্ছে না। অথচ এসব কাজ নিয়মিত করার বিধান আছে

এবার অনেক বছর পর ড্রেন পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। কিন্তু তার সুফল তেমন পাওয়া যায়নি। কারণ ড্রেনের ভেতরের ময়লা তুলে পাশেই স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। ফলে ময়লাগুলো মানুষের পায়ে পায়ে আর যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে পুনরায় ড্রেনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। ড্রেন বন্ধ হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে পলিথিনের ব্যাগ, যত্রতত্র গড়ে ওঠা তরকারির দোকানের বর্জ্য নির্মাণ সামগ্রী তথা বালি, সিমেন্ট ইটের ভগ্নাংশ। এগুলো ড্রেনের মধ্যে ঢুকে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এগুলো রাস্তার ধারে রাখা নিষিদ্ধ। কিন্তু নিয়ম পালন করেন না কেউই। অপরদিকে প্রতিটি বাসার ময়লা নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বেসরকারি খাতে। জন্য তারা প্রতি মাসেই টাকাও নেয়। শর্ত প্রতিদিনই ময়লা নিতে হবে। কিন্তু তারা এই শর্ত পালন করে না

কিছু দিন আগে সব রাস্তার ধারে ময়লা ফেলার বক্স বসানো হয়েছে। এটা একটা খুবই ভালো উদ্যোগ। সব দেশেই এই ব্যবস্থা আছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যেই অনেক বক্স ভেঙেচুরে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বাকিগুলোর বেশির ভাগ বন্ধ করে রেখেছে ক্লিনাররা। যে দুচারটা খোলা আছে, তা ময়লায় ভর্তি হয়ে থাকে অনেক দিন। কারণ বক্সের ময়লা সরানো হয় না। অবস্থায় শুধু বা ফুটওভারে ফুলের গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার কাজে কি মানুষ খুশি হবে

একথা সবাই জানি যে, বরিশালর যানজট তেমন নেই। রাস্তা দখলমুক্ত হকারমুক্ত করতে পারলেই যানজটআরো অনেক কমে যাবে বলেও অভিমত। তাই রাস্তা দখল হকারমুক্ত করা আবশ্যক

বরিশালের কয় একটি পুরাতন খাল আছে তা মেয়র এ্যাডঃ মজিবর রহমান সরোয়রের আমলেই খনন হয়ছি পরে তা ড্রেনে রূপ নেয় সে গুলর অবস্তা ভয়াবহ প্রক্তন জেলা প্রশাসক সাইফুজ্জামান গাজীর অক্লান্ত চেস্টায় অনেকটা পরিচ্ছন্ন হয়েছিল এখন তা সাবেকেই রূপ নিচ্ছে বরিশালের ইতিহাসে প্রথম একজন দক্ষ এবং ভাল মনের জেলাপ্রশাসক পেয়েছিল বরিশালবাসী অপূর্নতা আর কোনদিই পূর্ন হবে বলে মনে হয়না।

বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং স্থাপনা ভেঙে ফেলার জন্য বহুবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সবই বহাল আছে। আমরা সাধারণ জনগণ স্বপ্ন দেখি সুন্দর, স্বপ্নের সমান স্বস্তির এক বরিশাল শহরের। আমাদের স্বপ্ন কি বাস্তবতার সমান্তরালে দাঁড়াবে না কোনোদিন? আগামী নগর পিতার কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা আমাদের নগর চাই বাংলার ভেনিস রূপে ।

সুমন হালদার আশীস

 

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »