২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৬:০৫

স্বরূপকাঠিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিবাবকদের বিক্ষোভ: প্রধান শিক্ষকের যোগদান স্থগিত

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, জুলাই ১০, ২০১৮,
  • 586 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

স্বরূপকাঠী প্রতিনিধিঃ
স্বরূপকাঠির ১০নং বিষ্ণুকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিবাবকদের বিক্ষোভের মুখে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান স্থগিত হয়ে আছে মোঃ কাঞ্চন আলী খাঁনের। গতকাল বিষ্ণুকাঠি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কাঞ্চন আলী খান প্রধান শিক্ষকের শূণ্য পদে যোগদান করবেন এমন খবরে শিক্ষক মিলনায়াতনে জড় হয়ে শিক্ষার্থী অভিবাবকগণ বিক্ষোভ করেন। তারা স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদের নিকট উক্ত শিক্ষকের যোগদানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। সরেজমিনে ১০নং বিষ্ণুকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বিক্ষোভরত অবিভাবকগণ অভিযোগ করেন, ১৫১নং উত্তর পূর্ব করফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ের শীখা রানী সহকারি শিক্ষিকার সাথে অনৈতীক সম্পর্ক ছিল যা এলাকায় বিচার শালিসের মাধ্যমে সমাধা হয়েছে এবং তাদের একত্রিত একটি আপত্তিকর ছবি এ সংবাদকর্মীকে দেন। সম্প্রতি সে(প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন) তার চাচাতো ভাইর ছেলের বউর সাথে অনৈতীক কর্মকান্ড করেছে যা নিয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা হয়েছে এবং এ বিষয়টি সাবেক এম.পি অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম স্যার মিমাংসা করেছেন। উক্ত প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে বিষয়টি সমাধা করেছে। তাই এমন চরিত্রহীন শিক্ষকের বিদ্যালয়ে আমাদের ছেলে মেয়ের কোন নিরাপত্তা নাই। এব্যাপারে বিষ্ণুকাঠি সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারি শিক্ষিকা বলেন, কাঞ্চন সাহেবের চরিত্র সম্পর্কে আমরা আগেই অবগত তিনি উত্তর পূর্ব করফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন শীখা রানীর সাথে অনৈতীক সম্পর্ক করে এলাকায় বিতর্কিত হয়েছেন এবং স্থাণীয় ভাবে শালিস বিচারও হয়েছে। সে পূণরায় এই বিষ্ণুকাঠি গ্রামেই এমন অনৈতীক কাজে জড়িয়ে মামলা হওয়ার পর জরিমানা দিয়ে মিমাংসা করেছেন। তার অধীনস্ত হয়ে কাজ করবনা তাকে যদি এখানে যোগদান দেয়া হয় তাহলে আমরা যে কোন উপায়ে হোক বদলী নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে চলে যাব। এক পর্যায় উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ইয়ুসুফ আলী বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বিষ্ণুকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন এবং তার সামন্ েসকল শিক্ষার্থী অবিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্যতিত সবাই কাঞ্চন খানের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দেন। এসময় সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ইয়ুসুফ আলী অভিবাবকদের বলেন তাকে(কাঞ্চন) ভালো হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আপনারা তার যোগদানে বাধা দিতে পারেন না কারণ সেটা সরকারি কাজে বাধার সামিল। অতঃপর তিনি শিক্ষার্থী অভিবাবকদের লিখিত অভিযোগ শিক্ষকদের মেীখিক অভিযোগ নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াষ দেন। এসময় প্রধান শিক্ষক কাঞ্চনের জরিমানার মিমাংসা পত্রের একটি ছবি এটিও ও সংবাদকর্মীদের মোবাইলে দেয় এক শিক্ষার্থী অভিবাবক। এব্যাপারে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ইয়ুসুফ আলী বলেন, আমার শিক্ষক চরিত্রহীন নয় সে যদি চরিত্রহীন হয় তার তার প্রমান দিতে হবে জনগনের মুখের কথা কোন কাজ হবেনা। সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ইয়ুসুফ আলীর এমন বক্তব্যে শিক্ষার্থী অভিবাবকগণ তাদের ছেলে মেয়েকে এ বিদ্যালয় থেকে নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছে এবং বিষয়টি দেখছি। ১৫১নং উত্তর পূর্ব করফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শীখ রানী বলেন, এটা অনেক আগের ঘটনা এবং শালিস বিচারের মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে, আমার স্বামী সন্তান আছে এগুলো এখন না উঠানোই ভালো। শিক্ষক কাঞ্চন খানের অনৈতীক কাজের বিষয়ে করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে নেছারাবাদ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই কালাম জানান, বাদী জানায় তাদের মিমাংসা হয়েগেছে। সাবেক এমপি স্যার এর মিমাংসা করেছেন বলে জানায় এবং মিমাংসাপত্র থানায় জমা দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে অভিযযক্ত শিক্ষক কাঞ্চন আলী খান তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বিকার করে স্বাক্ষাতে দেখা করে কথা বলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »