মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুরঞ্জন দাসের স্ত্রী অঞ্জনা রানী দাস, পাঁচ বছরের ছেলে অভিক দাস, ভাই শুভ দাস ও মনোরঞ্জন দাসসহ আরো বেশ কয়েকজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুরঞ্জন দাসের স্ত্রী অঞ্জনা রানী দাস বলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রামে জুথী জুয়েলার্স নামের একটি দোকান আছে তাঁর স্বামীর। গত রবিবার সন্ধ্যার আগে সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামস উদ্দিন ও কয়েকজন কনস্টেবল হঠাৎ করে দোকানে এসে তল্লাশি করে কার্পেটের নিচ থেকে ১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট বের করেন। ইয়াবা রাখার অপরাধে তাঁর স্বামী সুরঞ্জন দাস ও দোকানের কর্মচারী ছানোয়ারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অঞ্জনা রানী দাস বলেন, তাঁর স্বামী কোনো ধরনের নেশা করেন না। মাদক সংক্রান্ত কোনো মামলাও নেই। জমি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে এলাকার অনিল দাস, স্বপন দাস, অর্পণ দাসদের বিরোধ রয়েছে। মাঝেমধ্যেই তারা ওই জমি দখল করতে আসে, হুমকি-ধমকি দেয়। এ ব্যাপারে তাঁর স্বামী সুরঞ্জন দাস দুই দফায় অনিল দাসদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার একটি জিডি করেন সুরঞ্জন দাস। এরপর শনিবার সদর থানার একজন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে যান।
অঞ্জনা রানী দাস বলেন, নিজেদের পিঠ বাঁচাতে অনিল দাসরা ষড়যন্ত্র করে তাঁর স্বামীকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশকে দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে।
অঞ্জনা রানী দাস আরো বলেন, অভিযোগ যে মিথ্যা, তা মামলার এজাহার থেকেই বোঝা যায়। পুলিশের এজাহারে বলা হয়েছে, জুথী জুয়েলার্সের সামনে থেকে দুজনের দেহ তল্লাশি করে সুরঞ্জনের লুঙ্গির কোচা থেকে ছয় পিস এবং ছানোয়ারের লুঙ্গির কোচা থেকে চার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ উপস্থিত সবাই দেখেছে দোকানে তল্লাশি করে কার্পেট সরিয়ে পুলিশের এক সদস্য ইয়াবা বের করে আনেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সদর থানার এসআই শামছ উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিউল্লাহ রায়হান সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত করে দেখবেন ঘটনা সত্য নাকি ফাঁসানো হয়েছে। যদি ফাঁসানো হয় তবে গ্রেপ্তারকৃতদের কোনো শাস্তি হবে না।