নিজস্ব প্রতিবেদকঃবরিশাল সদর আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ থেক মনোনায়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি কর্নেল (অব:)জাহিদ ফারুক শামীম।গেল ২৬ নভেম্বর তিনি দলীয় সভানেত্রীর সাক্ষরযুক্ত মনোনায়ন চিঠি পান।এ আসনে প্রথমে মনোনায়ন দেওয়া হয়েছিল বর্তমান সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজকে।কিন্তু সেনা কোঠায় অনেকটা ছো মেরেই নমিনেশন বাগিয়ে নেন এ সাবেক সেনা কর্মকর্তা।বরিশালের রাজনতিতে কোন আলোচনায় না থাকা এই নেতাকে আগেও ২০০৮ এ আওয়ামীলীগ থেকে নমিনেশন দেয়া হয়েছিল।কিন্তু এরপরে আর তিনি সিনে আসতে পারেননি।স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা না থাকায় বরিশালে তৈরি করতে পারেননি নিজের কোন বলয়।শুধুমাত্র গুটিকয়েক নেতাকর্মীরা ও চৌমাথা-হাতেম আলী কলেজ এলাকার কিছু ব্যক্তি আছেন তার সাথে।ফলে দলীয় মনোনায়ন পাওয়ার পর এখনও তার কাছে ভিড়েনি নেতাকর্মীরা।যদিও স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা দলীয় সকল মতভেদ ভুলে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ওর্য়াডে ওয়ার্ডে নির্দেশনা দিয়েছেন।গত ২৮ নভেম্বর সিটিমেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে ওর্য়াড পর্যায়ের নেতাকর্মী ও স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলরদের সাথে এক বৈঠকে ময়র সাদিক স্পর্ষট বলেছেন শামীমের পক্ষে কাজ করতে।প্রার্থী কে সেটা না দেখে নৌকার পক্ষে কাজ করতে বলে দেন তিনি।কিন্তু প্রার্থী শামিম এখনও দলের কোন কর্মীদের কিংবা ওর্য়াডের নেতাদের সাথে বসেননি।শুধু নিজের কিছু অনুসারীদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠকে ব্যস্ত থাকছেন তিনি। বরিশালে অবস্থান করে থাকলেও বৈঠক করছেন বিভিন্ন সরকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে।গতকাল শুক্রবার তিনি বসেন বরিশালস্থ অবসরপ্রাপ্ত সেনা-নৌ-বিমানবাহীনির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে।আলাপ করা হয় নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যড.গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের সাথে তিনি জানান,আমাদের টার্গেট নৌকার বিজয়।এখানে যাকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে তার সাথে আমাদের যোগাযোগ আছে।আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ তারিখ থেকে প্রার্থীকে নিয়ে নামব।এখনকার নেতাকর্মীদের সাথে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কোন দুরত্ব আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দুলাল বলেন সব ঠিক যাবে।আন্যদিকে বক্তব্য নেয়ার জন্য কর্নেল(অবঃ)জাহিদ ফারুক শামীমের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।