৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ১:৫৮

যুক্তরাষ্ট্র কোনো দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না: রাষ্ট্রদূত

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮,
  • 314 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেছেন, সহিসংতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধকে সমর্থন করি। মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে সাাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রবার্ট মিলার।

বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রবার্ট মিলার বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলাম। আমরা বলেছি, সব দল অবাধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এবং রাজনীতি করার যেন সুযোগ পায়। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচরণা চালাতে ও সমাবেশ করার সুযোগ পায়। প্রাণবন্ত প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হয়। গণমাধ্যম, বিরোধী দলগুলো যেন তাদের মত ব্যক্ত করতে পারে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচনে সবার শান্তিপূর্ণ আচরণের প্রত্যাশায় সবাই। সে রাজনৈতিক দল হোক, আর যেই হোক, যেন শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সবাই যেন সহিংসতা থেকে দূরে থাকে। কেননা, সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে থাকে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধকে সমর্থন করি।

রবার্ট মিলার বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি (ভোটার) অংশ নেবেন। আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি-অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়টিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ) উৎসাহিত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেণ টিমকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট প্রাক-মূল্যায়ন দল অক্টোবরে পাঠিয়েছিল এনডিআই। পরবর্তীতে ডিসেম্বরেও এরকম আরো একটি দল পাঠিয়েছিল। এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’। তারা দুজন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ইলেকশন পর্যবেকও পাঠাবে। বলছিলেন রবার্ট মিলার।

মিলার বলেন, মার্কিন দূতাবাস পৃথক পর্যবেক দল নিয়োগ করবে সারাদেশে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক নিয়োগ করবে, যারা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) হিসেবে কাজ করবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »