চিনের হেনান প্রদেশের লুশান কান্ট্রিতে অবস্থান বিখ্যাত ভাস্কর্য দ্যা স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধ। একই জায়গায় অবস্থিত বিখ্যাত Tianrui hot spring থেকে ভাস্কর্যটির নামকরণ করা হয়েছে।
ভারতে প্যাটেলের ভাস্কর্য উন্মোচনের আগে চীনের স্প্রিং টেম্পল বু্দ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্যের স্বীকৃতি পেয়েছিল৷ চীনের হেনান প্রদেশে ১২৮ মিটার দীর্ঘ বুদ্ধ একটি পদ্মফুলের সিংহাসনে দাঁড়িয়ে আছে৷ ২০০৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়৷
ভারতের গুজরাট রাজ্যে ভাস্কর্যটি ১৮২ মিটার বা ৬০০ ফুট উঁচু।
সাধারনত বেশিরভাব বুদ্ধ মূর্তি ধ্যানমগ্ন আসনে থাকতে দেখা যায়। তবে স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধা দাড়িয়ে হাত উঠিয়ে অনুসারীদের আশীর্বাদ করছেন। মূলত ২০০১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধ ধ্বংস করে দিলে চিনের সরকার অত্যন্ত নিন্দা প্রকাশ করেন এবং ঘোষণা দেন বিশ্বের দীর্ঘতম বুদ্ধ মূর্তি স্থাপনের।
এরপর ফডুশান সিনিক এরিয়াতে শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ। ১০৮ কেজি স্বর্ণ, ৩৩০০ টন তামা ও ১৫০০০ টন স্টিল দিয়ে ২০০৮ সালে শেষ হয় মূর্তি তৈরির কাজ। যার পদ্ম বেদী থেকে মোট দৈর্ঘ্য ৪২০ ফুট। মূর্তিটি দাড়িয়ে আছে দুটি দালানের ওপর। যার একটিকে ডায়মন্ড সিট ও অন্যটিকে সুমেরু সিট বলা হয়।
ডায়মন্ড সিট দালানটির কুঠিগুলো ছোট ছোট বুদ্ধ মূর্তি দিয়ে সাজিয়ে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। যেখানে ৬’৬৬৬ টি মিনি টেম্পল বুদ্ধ ব্যবহার হয়েছে ৫০০০ কুঠির জন্য। সুমেরু সিট এ ওঠার জন্য রয়েছে দুটি সিড়ি যার প্রতিটি ৩৬৫ টি ধাপ বিশিষ্ট। সবকিছু মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভাস্কর্যের উচ্চতা ৬৮২ ফুট। ভাস্কর্যের নিচে রয়েছে ফুকুয়ান মন্দির। যার বড় আকর্ষণ Bell of good luck।
চিনের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান এটি। এখানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষেরা আসেন বুদ্ধমূর্তির পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করতে। কতটা দীর্ঘ এ মূর্তি তখন তারা সত্যিকার অর্থেই উপলব্ধি করতে পারেন। বৌদ্ধ ধর্মপ্রাণ মানুষেরা তাদের অন্তরের অন্তরীক্ষে বুদ্ধ প্রতিবিম্ব যেমন করে ধারণ করে আছেন তেমনি যুগ যুগ ধরে দাড়িয়ে রবে দ্যা স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধ।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্যটি এখন ভারতে৷ যার উচ্চতা ১৮২ মিটার বা ৬০০ ফুট।