আজমীর হোসেন তালুকদার:নির্বাচন কমিশন এর পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিক নীতিমালা ঘোষনা মটোরসাইকেল ব্যবহারের নিষেদ্ধ করার সিদ্ধান্তে সারা দেশের ন্যায় ঝালকাঠির পেশাধার সাংবাদিকরা চরম বিপাকে পরেছে। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এধরনের নিত্য-নতুন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকে নজিরবীহিন বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিহিত করেছে। এনিয়ে জেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্ধসহ সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের নীতিমালার বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ সমালোচনা মুখোর হয়ে উঠেছে।
গত কয়েকদিন জেলা রিটার্নীং অফিসার কার্যালয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের পেশাগত দায়িত্ব পালন ও পরিদর্শনের জন্য সাংবাদিকরা নিয়মানুযাী আবেদনপত্র জমা দেয়। ২২ ডিসেম্বর রবিবার সকালে অনেক সাংবাদিক পর্যবেক্ষন কার্ড ও মটোরসাইকেলের অনুমতির ষ্টিকার সংগ্রেহের বিষয় জেলা রিটার্নীং অফিসার কার্যালয়ে খোজ নিতে যায়।
সেখান থেকে গত ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত সাংবাদিক নীতিমালার বিষয় উল্লেখ করে সাংবাদিকদের মটোরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোন অনুমতি বা ষ্টিকার সরবারহ করা হবেনা বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় জেলার ৪টি উপজেলা নিয়ে গঠিত দুটি সংসদীয় আসনের সংবাদ-তথ্য, ফুটেজ কিভাবে সংগ্রহ করবে বা জেলার বিস্তৃর্ন গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে যাতায়াত করবে তাই নিয়ে চরম দু:শ্চিন্তার মুখে পড়ে যায়।
এ পরিস্থিতি উত্তরনে চিন্তিত ঝালকাঠির আরটিভি প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জলিল ও মোহনা টিভি প্রতিনিধি রুহুল আমিন রুবেল রবিবার সন্ধ্যায় একটি গোড়ার মালিকের সাথে ভোটের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাড়া দিবেন কিনা বা দিলে কতো ভাড়া পরতে পারে তাই নিয়ে আলাপ করে।
খরচে পোশালে ওদের দুজনের ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষনের সৌভাগ্য হলেও দেশের গুরুত্বপূর্ন টিভি বা পত্রিকা গুলোর জেলা পর্যায়ে দায়িত্বরত সাংবাদিকরা কিভাবে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সংগ্রহ বা পরিবেশন করবে তাই নিয়ে দারুন দু:শ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে পরেছে।
এনিয়ে চরম ক্ষুদ্বু কয়েকজন সাংবাদিক তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানায়, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালায় ‘অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে গনমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন তাই সাংবাদিকরা যাতে সহজে ও নির্বিগ্নে সংবাদ পরিবেশন করতে পারে তাতে সহযোগীতা করা প্রয়োজন’ বলে উল্লেখ করলেও মটোরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি বাতিল করে তারা সাংবাদিকদের সাথে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে বা পেশাগত দায়িত্ব পালনের এই নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবাদিকদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনা আর কখনো ঘটেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন