কোনো নতুন খেলোয়াড় ক্রয়ের পেছনে ৬৪ মিলিয়ন ইউরো বা ৬১৬ কোটি টাকা ঢালাটা এখন কোনো বিষয় নয়। বরং ইউরোপের দলবদলের চড়া মূল্যের বাজারে অঙ্কটা নস্যিই। কিন্তু বিস্ময়কর হলো, ইংলিশ ক্লাব চেলসি এই টাকাটা ঢালল ফুটবলের অনুর্বর ভূমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণের পেছনে। তার বয়স মাত্র ২০!
হ্যাঁ, জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই তরুণ মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান পুলিসিচকে ৬৪ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনে ফেলল চেলসি। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা ৬১৫ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ১০০ টাকা মাত্র!
গতকাল বুধবারই চুক্তিপত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করে চেলসির হয়ে গেছেন পুলিসিচ। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার সঙ্গে সঙ্গেই ২০ বছর বয়সী তরুণ হয়ে গেছেন ইতিহাস। যুক্তরাষ্ট্র তথা উত্তর আমেরিকা মহাদেশের ইতিহাসে তিনিই এখন সবচেয়ে দামী ফুটবলার। একই সঙ্গে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিক্রি করা খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি এখনো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামী।
জার্মান ক্লাবটি তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করেছে কেবল উসমানে ডেম্বেলেকে। ২০১৭ সালে ফরাসি এই তরুণকে ডর্টমুন্ড থেকে বার্সেলোনা কিনে আনে ১৪৭ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তিতে। এর মধ্যে ১০৫ মিলিয়ন ইউরো নগদই দিয়েছে বার্সেলোনা। বাকি ৪২ মিলিয়ন ইউরো দেওয়া হবে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে।
চুক্তি হয়ে গেলেও পুলিসিচ এই মৌসুমে চেলসিতে যাচ্ছেন না। মৌসুমের বাকি সময়টা তিনি ধারে খেলবেন নিজের ঘর ডর্টমুন্ডেই। মৌসুম শেষে যোগ দেবেন নিজের বর্তমান ক্লাব চেলসিতে।
যাই হোক, হুট করেই কুড়িতে পা দেওয়া এক তরুণকে এতোট টাকা দিয়ে কিনল কেন চেলসি? চেলসির ড্রেসিংরুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের খবর, এডেন হ্যাজার্ডের বিকল্প আগে থেকেই কিনে রাখল চেলসি। গত মৌসুম থেকেই হ্যাজার্ডের পিছু নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ক’দিন আগে খবর বেরোয়, হ্যাজার্ড এরই মধ্যে রিয়ালকে পাকা কথাও দিয়ে ফেলেছেন। মৌসুম শেষ হলেই তিনি চেলসি ছেড়ে যোগ দেবেন রিয়ালে। তাই আগে থেকেই বিকল্প কিনে রাখল চেলসি, যাতে তখন বিকল্পের জন্য বাড়তি ঘাম ঝরাতে না হয়।
বয়স কম হলেও এরই মধ্যে নিজের জাতটা চিনিয়েছেন পুলিসিচ। মিডফিল্ডার হিসেবে দলের খেলাটা তৈরি করাই তার প্রধান কাজ। নিজের কাজটা খুব ভালোভাবেই করতে পারেন। পাশাপাশি গোল করার দক্ষতাও বেশ। এই মৌসুমে এরই মধ্যে ৩ বার ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে উদ্ধার করেছেন তরুণ পুলিসিচ।