বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনের নামে দেশে যে প্রহসন হয়েছে এটা দেশকে গণতন্ত্রহীনতা এবং অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এটা জনগণের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা ও প্রহসন। জনগণ তা মেনে নেয়নি ও মেনে নেবেও না। নির্বাচনের আগে ও পরে যে ধরনের নৃশংসতা হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যে ঘটনা (এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ) ঘটেছে, এটা যারা ঘটিয়েছে এবং এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
আজ শনিবার (৫ জানুয়ারি) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে নোয়াখালী আসেন মির্জা ফখরুলসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে এবং এই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করেছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘দেশে এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।’তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহু নেতাকর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছেন। নির্বাচনের আগে ও পরে যে ধরনের নৃশংসতা হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল। নোয়াখালীতে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ঘটনায় রাজনীতিতে একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি হলো, বাংলাদেশ অন্ধকার যুগে প্রবেশ করলো এবং বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিহীন হলো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এ সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো ও রুখে দাঁড়াব। এর বিচারের ভার জনগণের কাছে দিলাম। এর পিছনে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে এজন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আসেন আ স ম আবদুর রব, আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
আজ শনিবার বিকাল ৩টায় জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের মতবিনিময় সভা করার কথা রয়েছে।