৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ২:১৪

নোয়াখালীর পর এবার মৌলভীবাজারে এক সন্তানের জননীকে রাতভর গণধর্ষণ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ রবিবার, জানুয়ারি ৬, ২০১৯,
  • 433 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

নোয়াখালীর পর এবার- মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এক সন্তানের জননীকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজন। এর মধ্যে ফজলু এবং মাসুক নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে উপজেলার কাশীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত নারীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় জড়িত ফজলু, মাসুক ও রিপনকে আসামি করে জুড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

ওই নারীর বাবা বাবা জানান, তিনি মেয়েকে ফুলতলায় বিয়ে দেন। তার মেয়ের ঘরে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় মেয়ের স্বামী তাকে তালাক দেয়।

কিন্তু মেয়ে ও নাতনি তার বাড়িতে থাকে। মাঝে মধ্যে তার মেয়ে একা ঘুরে বেড়াত। বুধবার রাতে প্রতিবেশী সিএনজি অটোরিকশাচালক মাসুক তার মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার সহযোগী রিপন ও ফজলু মিলে রাতভর ধর্ষণ করে।

জুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্তাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ওই নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তিন আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামি রিপনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুরে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ

গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রেন থেকে জোর করে নামিয়ে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শাহীন নামে এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুর শ্রীপুরের কাওরাইদ স্টেশনে কমিউটার ট্রেনটি যাত্রাবিরতিতে ছিল। জামালপুরগামী ওই নারী পোশাক শ্রমিককে নামিয়ে একটি খোলা মাঠে নিয়ে যায় শাহিন। পরে সে ওই শ্রমিককে ধর্ষণ করে।

নির্যাতনের পর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ওই নারী শ্রমিককে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করে। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

নির্যাতনের শিকার নারী পোশাকাশ্রমিক উপজেলার টেপিরবাড়ি আনোয়ারা-মান্নান টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়।

শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, ‘শাহীনকে আটক করা হয়েছে। আর ওই নারীকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

চাচার কাছেও নিরাপদ নয় ভাতিজী!

গতকাল শুক্রবার চাচার কাছে (আপন জেডাত ভাইয়ের মেয়ে) ধর্ষণের শিকার হয়েছে ভাতিজী! ঘটনাটি ঘটছে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে। ধর্ষণের স্বীকার মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্যে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

থানা পুলিশ ও মামলার বাদী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটি তার জেডিকে নাস্তা খাওয়ার জন্যে ডাকতে তার ঘরে যায়।

জেডিকে ঘরে না পেয়ে ফিরে আসার সময় জিয়ারুল মেয়েটির মুখ চেপে ধরে জোর করে ওই ঘরেই ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা চলে।

কিন্তু অপোষ-মিমাংসা না হওয়ায় এ ঘটনায় মেয়েটির আপন চাচা সামিউল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে চাচা মোঃ জিয়ারুল ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জিয়ারুল উপজেলার ঘাগড়া কামারপাড়া গ্রামের আব্দুল মুন্নাফের ছেলে।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এই ধর্ষণের ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরই জিয়ারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

স্ত্রী কাজের জন্য বাড়ীর বাইরে থাকলেই শ্যালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন দুলাভাই

সাভারে একে একে তিন বোনকে বিয়ে করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এক যুবক। উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মুসলিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম সোহরাব হোসেন। পেশায় তিনি একজন নরসুন্দর। যে তিন বোনকে একে একে নিজের স্ত্রী বানিয়েছেন সোহরাব তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে।

জানা যায়, খুলনা জেলার কয়রা থানার বাগমারা এলাকার আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে সোহরাব সরদার প্রথমে লিমা আক্তারকে (২১) বিয়ে করেন ৪ বছর আগে। বিয়ের ১ বছর পর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার বড় বোনকে (২২) বিয়ে করেন। তিন বছর সাংসারিক জীবন অতিবাহিত করেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে।

সম্প্রতি আবারও তিনি তার শ্যালিকা অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর আপন ছোট বোনকে (১৮) বিয়ে করেন। গত ৩ জানুয়ারি তৃতীয় বিয়ের পর আলাদা সংসার পেতেছেন সোহরাব।

ছোট বোন মাত্র তিন মাস আগে পোশাক কারখানায় কাজ নিতে বড় বোনের বাসায় আসেন। সোহরাবের দ্বিতীয় স্ত্রীও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। একই কারখানাতে ছোট বোনকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন বড় বোন। চাকরি পেয়ে বোন-দুলাভাইয়ের সঙ্গে একই বাসাতে থাকতেন ছোট বোন।

অল্প কিছুদিন আগে ছোট বোন শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। বমি হতে থাকে ঘনঘন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ধরা পড়ে প্রেগন্যান্সি। তারপরই দুলা ভাইয়ের সঙ্গে অবৈধ মেলা মেশার কথা শিকার যান ছোট বোন।

বড় বোন রাতের বেলায় কাজে থাকলেই শ্যালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন দুলাভাই। প্রেগন্যান্সি ধরা পড়ার তিনদিনের মাথায় শ্যালিকাকে বিয়ে করে নেন সোহরাব। এভাবে একে একে আপন তিন বোনের স্বামী হয়ে যান বিকৃতমনা সোহরাব।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী সোহরাবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম স্ত্রী নিজেই আমাকে ছেড়ে যান। এরপর তার বড় বোন আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু তিন বছরের সংসার জীবনে আমরা নিঃসন্তান থাকি। তাই প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট বোনকে বিয়ে করতে বাধ্য হই।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »