উজ্জ্বলতা ফিরে পাবার- প্রতিদিনের কাজের চাপে নিজের দিকে ফিরে তাকাবার সময় পান না। ত্বকের উজ্জ্বলতা তখনই ফিরে আসে যখন প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নেয়া হয়। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ত্বকের যত্ন নেয়া হয়না বলে ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা। তাই আজ আপনাদের দেয়া হল খুব সাধারণ ৪ টি কৌশল যা পালন করতে কষ্টও হবে না এবং ত্বকও থাকবে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
টম্যাটো –
একটি টম্যাটো স্লাইস করে কেটে ত্বকে ম্যাসেজ করুন। পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসেজ করার পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। টম্যাটোতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
কলা ও অলিভ অয়েল ফেসপ্যাক –
একটি পাকা কলা নিয়ে পেস্ট করে নিন। কলার পেস্ট এর সাথে ১/২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এখন মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তরপর ধুয়ে ফেলুন।
সবুজ আপেল –
ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সবুজ আপেল অনেক উপকারী। সবুজ
আপেল কেটে গ্রেট করে নিইয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সবুজ আপেল
শুধু ত্বক উজ্জ্বল করেন না সাথে সাথে মুখের ত্বকে রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি
করে।
ময়দা, দুধ ও লেবুর রস –
২ চামচ ময়দা নিন সাথে ১ চামচ লেবুর রস ও ১ চাবচ দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন এবং না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ১৫/২০ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই টিপসটি সব ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী।
অ্যালোভেরার রসঃ
ত্বক উজ্জ্বল করতেঃ নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে ত্বক থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। এছাড়া অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ত্বকে লাগালেও ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতেঃ অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন সি, ই ও বেটা-ক্যারোটিন যা ত্বকের যত্নে অতুলনীয়। এটি বলিরেখা দূর করে টানটান করে ত্বক। প্রতিদিন পানির সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে পান করুন ও অ্যালোভেরা জেল ঘষুন ত্বকে।
ত্বকের লালচে ভাব দূর করতেঃ ময়েশ্চারাইজার অথবা ক্রিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করুন ত্বকে। দূর হবে ত্বকের লালচে ভাব।
ত্বকের ইনফেকশন দূর করতেঃ পোকামাকড়ের কামড় অথবা ইনফেকশন দূর করতে পারে অ্যালোভেরা। এজন্য অ্যালোভেরা জেল ত্বকে কিছুক্ষণ ঘষে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
এই ৬টি কারণে নারীদের স্তনের আকৃতি নষ্ট হয়
স্তনের আকৃতি নিয়ে অনেক নারীই চিন্তিত থাকেন। স্তনের সুন্দর্য ধরে রাখতে কিছু নিয়ম অবশ্যই পালান করা উচিত প্রত্যেক নারীকেই। বিশেষ করে মাঝ বয়সী নারীরা এ নিয়ে বিশ চিন্তত থাকেন। কিন্তু প্রথম থেকেই যদি এবিষয়ে নজর দেয়া সম্ভব হয় তা হলে অনেক বছর পর্যন্ত স্তনের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব
একদমই পানি পান করতে ভালো লাগে না? জেনে রাখুন, কম পানি পান করলে কেবল আপনার স্বাস্থ্যই খারাপ হবে না, সেইসাথে হবে চরম সৌন্দর্য হানি। হ্যাঁ, মুখের তো বটেই, সাথে সৌন্দর্য হারাবে আপনার স্তনও। বক্ষযুগলকে সুন্দর রাখতে নারীদের চেষ্টার অন্ত নেই, অথচ প্রতিনিয়ত তাঁদেরই কিছু ভুলে ক্রমশ সৌন্দর্য হারাচ্ছে শরীরের এই অঙ্গটি। জেনে নিন ৬টি এমন ভুলের কথা, যেগুলোর ফলে আপনার স্তনে পড়ছে বয়সের ছাপ ও নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক আকৃতি ও সৌন্দর্য।
২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, যারা প্রতিনিয়ত ব্রা পড়ে থাকেন তাঁদের তুলনায় যেসব নারীরা কখনোই ব্রা পরিধান করেন নি, তাঁদের স্তনের আকৃতি অনেক বয়স পর্যন্তও সুন্দর থাকে। অপর আরেকটি রিসার্চে দেখা যায় যে ভুল মাপের ব্রা পরিধান দ্রুত নষ্ট করে ফেলে আপনার স্তনের আকৃতি। ব্রা যদি পরিধান করতেই হয়, তবে সেটি হতে হবে সঠিক মাপের। খুব বেশী টাইট বা খুব ঢিলেঢালা ব্রা, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
আপনি পর্যাপ্ত পানি পান করেন না: পানি হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে জাদুকরী পানীয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে ক্রমশ বয়সের ছাপ পড়ে আপনার ত্বকে এবং ঝুলে যেতে থাকে ত্বক সময়ের অনেক আগেই। এবং হ্যাঁ, শুধু মুখের নয়, সম্পূর্ণ শরীর তথা স্তনের ত্বকেও এর প্রভাব দেখা যায় অত্যন্ত বেশী।
সূর্যরশ্মি হতে রক্ষা করেন না: সংক্ষিপ্ত পোশাক কিংবা পাতলা ফেব্রিক পরতে ভালোবাসেন? জেনে রাখুন, প্রখর সূর্যরশ্মি আপনার মুখের ত্বকের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ত্বকেরই ক্ষতি করে। পোশাকে ঢাকা থাকলেও সূর্যের রশ্মি আপনার দেখা পছায় ঠিকই, তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বিশেষ করে স্তনের নরম ত্বকে। সূর্যের প্রখর উত্তাপ বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনেক ত্বরান্বিত করে দেয়।
আপনি ধূমপান করেন: ধূমপান মানবদেহের জন্য একটি অভিশাপের নাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরুষের চাইতে অনেকটাই বেশী। ধূমপান আপনার ত্বকের ইলাসটিনকে নষ্ট করে ফেলে, যা ত্বকে টানটান ভাব ও তারুণ্য ধরে রাখে। ফলে আপনাকে দেখায় অনেক বেশী বয়স্ক। ধূমপায়ী নারীদের স্তনের আকৃতি ও সৌন্দর্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে নেই, খুব দ্রুত বাড়ে-কমে: ওজন কমানো ভালো, তবে ওজন কম্লে সবার আগে প্রভাব আপনার স্তনে পড়ে। কেননা স্তন তৈরি মূলত ফ্যাট সেল দিয়ে, তাই ওজন কমলে প্রথমেই স্তনে এর প্রভাব দেখা যায়।
আপনি যখন বেশী মোটা থাকেন, ত্বকে স্ট্রেচ হতে হতে ইলাসটিসিটি হারিয়ে ফেলে। পরে পরবর্তীতে আপনি যখন স্লিম হয়ে যায়, তখন স্তন ঝুলে যায়। দ্রুত ওজন না কমিয়ে ধীরে সুস্থে কমাতে হবে এবং ওজন খুব দ্রুত ওঠানামা করতে দেয়া যাবে না। অল্প অল্প করে ওজন কমালে স্তনের আকৃতি অনেকটাই কম নষ্ট হবে।