নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায়
জড়িতরা এলাকায় দুর্বৃত্ত হিসেবে পরিচিত। বিএনপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায়
প্রতিহিংসায় তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
একাদশ
জাতীয় নির্বাচনের পর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্যাতিত নারী ও পরিবারের সঙ্গে
সাক্ষাৎ শেষে রোববার রাজধানীর মুক্তিভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ
করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সংবাদ
সম্মেলনে পরিদর্শন টিমের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন বাম জোটের নেতা
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন
প্রিন্স।
তিনি বলেন,
‘দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অনেক ঘটনা সংঘটিত হলেও সব ঘটনা দেশবাসীর
সামনে আসে না। সুবর্ণচরের ঘটনাও প্রথম থেকে আঁড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সারাদেশে
নারী ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবার এবং বিরোধী মতে পরিবারের ওপর
নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক
প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে।
সুবর্ণচরে
নির্যাতিত পরিবারটি এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে মন্তব্য করে সিপিবি
সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নির্যাতিতা নারী ও তার পরিবারের যথাযথ
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারেরও দাবি
জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান প্রমুখ।