৯ বছরেও মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার শিবরামপুর প্রকাশ টেপড়া ইউনিয়নের জয়ন্ত সরকার জয়ের সন্ধান এখনো মেলেনি। এ নিখোঁজের বিষয়ে তার পিতা রবিন্দ্রনাথ কবিরাজ শিবালয় থানায় বিগত ১১/০৩/২০০৯ ইং তারিখে সাধারন ডায়েরি (জিডি নং – ৪৪৮) করা হয় কিন্তু আজ অবদি তার এক মাত্র ছেলে জয়ন্তকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবার দিশেহারা।
জানা গেছে, তৎকালীন শিবালয় থানা পুলিশ তেমন আমল দেয় নাই। সরোজমিনে গোপনে জানতে পারলাম যে, তাদের পারবারের সাথে পার্শ্বের এক সাহা পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রহিয়াছে তারাই হয়তো জড়িত আছে বলে সকলের ধারনা। আরো জানতে পারলাম জিডি করার পর থানা পুলিশ জয়ন্তকে খুঁজে বার করার তেমন কোন চেষ্টায় করেনি, এর পর তখন থানায় মামলা করতে গিয়েও থানা পুলিশ মামলা নেয়নি এর পর আদালতে যাতে মামলা করতে না যায় তারজন্য সাবেক টেপড়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং প্রতাপশালী সাহা পরিবারের হুংকার, ভয়ংকর ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। যার কারনে রবিন্দ্রনাথ কবিরাজের (৬৫) পরিবার প্রচন্ডভাবে ভীত সন্ত্রস্হ হয়ে আর আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে নাই। একটি অসহায় নির্যাতিত হিন্দু পরিবার কি প্রশাসন থেকে আইনি সহযোগিতা পেতে পারে না? জয়ন্তকে কি সত্যি আজো খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়? প্রশাসন তথা পুলিশ কি এর দায় থেকে আদৌ অব্যাহতি পাবেন?
উল্লেখ্য, জয়ন্ত এর কাকাতো ভাইকেও (বিশ্বজিত সরকার (১৫), পিতা- মতিলাল সরকার ) গত ১০/১০/২০১৭ ইং তারিখে বিকালে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতের রগ কেটে মারাত্মকভাবে জখম করে ওই সাহা পরিবার ও তার সন্ত্রাসি বাহিনি। তার শিবালয় থানা মামলা নং- ১৫, তারিখ ১২/১০/২০১৭ ইং।মামলার তদন্তে ছিলেন মানিকগঞ্জ ডিবি উপ পরিদর্শক আশিষ কুমার স্যানাল। সেও প্রভাব মুক্ত না হয়ে মামলাটির যেখানে চার্জ শীট দেয়ার কথা তা না দিয়ে প্রভাবিত হয়ে এফ আর টি (ফাইনাল রির্পোট) প্রদান করে দায়মুক্ত হন তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম। বিষয়টি সম্পূর্ন অগ্রহনযোগ্য, অনভিপ্রেত এবং অনৈতিক। এসব অন্যায় কর্মকান্ডকে কিছুতেই ছাড় দেয়া যাই কি??
জয়ন্ত সরকার জয় (১৪) অষ্টম শ্রেনিতে পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রকে আর কাল বিলম্ব না করে খুঁজে বের করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রি, স্বররাষ্ট্র মন্ত্রি, আইজিপি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার।