ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী নব্য আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর আহমদ সহ ১০/১২জন মিলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত সদাসদী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভিতরে ধুমপান করছিল। ঐ সময় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উত্তম কুমার বিশ্বাস তাদেরকে বিদ্যালয় আঙ্গিনায় ধুমপান না করার জন্য বলে। এটা নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং বাকবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তানভির আহমদ সহ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোপালদী হিন্দু পাড়ায় হামলা চালায়। তারা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং গোপালদী পৌরসভার সাবেক যুবলীগের আহবায়ক উত্তম কুমার বিশ্বাসের বাড়ি ও তাঁর শ্বশুর অরুন বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৫টি ঘরে ভাঙচুর চালায় এবং ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এ সময় শিশু নারীসহ ৮ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।
সন্ত্রাসীরা অরুন বিশ্বাসের বাড়ির রাধা গোবিন্দ মন্দিরটিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।
সন্ত্রসী হামলায় আহতরা হলেন সাধনা রানী বিশ্বাস(৬৫), সন্ধ্যা রানী বিশ্বাস(৫৫), নিয়তি রানী বিশ্বাস(৫২), দিপালী রানী বিশ্বাস(৫০), শিশু নিলয় বিশ্বাস(১৫) ও নিরব বিশ্বাস(১২)।
সন্ত্রাসী তান্ডবের আতংকে হিন্দু পাড়ার বহু নারী-পুরুষ ও শিশুরা বাড়িঘর ছেড়ে আত্মরক্ষা করতে হয়েছে বলে উত্তম বিশ্বাস জানিয়েছে। ঐ সময় গোপালদী বাজারে মাইকে লুটপাটের খবর ব্যাপকভাবে প্রচার শুরু করলে গোপালদী ফাঁড়ি ও আড়াইহাজার থানার ওসির নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।