লিজকৃত সম্পত্তিতে কাপড় শুকানোকে কেন্দ্র করে স্বরূপকাঠীর জলাবাড়ী ইউনিয়নের জামুয়ায় মারামারি করার অভিযোগ উঠেছে সুজন মিস্ত্রী ও তার স্ত্রী মনিকা সমদ্দারের বিরুদ্বে। স্থানীয় সূত্র জানায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাৎসরিক লিজ ন্যায় এলাকার বাসিন্দা বাবু অনিল মিস্ত্রীর সম্পত্তি। এদিকে শীতের মাসে অনিলের ভাইয়ের বউ ঐ জায়গার এক পাশে শীতের কাপড় চোপড় শুকানোর জন্য রশি টানায়।আর রশিতে কাপড় শুকানোকে কেন্দ্র করে স্জুন মিস্ত্রী ও তার স্ত্রী অনিল মিস্ত্রীর ভাইকে সহ তার পরিবারকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে বলে দিলীপ মিডিয়াকে জানান।
এদিকে গত শনিবার দুপুর বেলা ঘটনার সূত্রপাত। কেন গালিগালাজ করা হল? আর এ বিষয়ে সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পাল্টা ক্ষিপ্ত হয় দিলীপ মিস্ত্রীর উপর। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজন ও মনিকা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে দিলীও মিস্ত্রীকে। মুহুর্তের মধ্যে দিলীপ মাটিতে পড়ে যায়। শনিবারের জামিয়া এলাকার মারামারির ঘটনা মাদ্রাসহ উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে মুহুর্তের মধ্যে।
এ ব্যাপারে জলাবাড়ির জামুয়া এলাকার বেশ কয়েকজন সচেতন জনতা মিডিয়াকে জানান, এলাকায় নিরীহ দিলীপ মিস্ত্রীকে হাতুড়ী দিয়ে রক্তাক্ত করার অপরাধে এলাকার প্রতিবাদী যুবকরা ঘটনা স্থলে গিয়ে মাস্তানখ্যাত সুজন মিস্ত্রীকে গণপিটুনী দেয় বলে এলাকার লোকজন জানান। তবে ভিন্নকথা বলেন, প্রতিবেশী ওয়ার্ড মেম্বর বাবুল হালদার জাতীয় দৈনিক সকালের সময়কে জানান, আমি মারামারির কথা শোনার সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেই। আর প্রশাসনেরও টিম মুহুর্তের মধ্যে ঘটনা স্থলে চলে আসেন। এদিকে প্রশাসন সুজন মিস্ত্রী ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে রক্ত মাখা হাতুড়ী উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় বলে প্রশাসন জানান। তবে জরুরী ভিত্তিতে দিলীপ মিস্ত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন দিলীপ মিস্ত্রী। অপর দিকে বরিশালের শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছে আহত সুজন মিস্ত্রী এবং তার স্ত্রী ।
সর্বশেষ তথ্যমতে এলাকার লোকজন মিডিয়াকে জানান, আসলেই সুজন মিস্ত্রী একটু বেশী মাস্তানী করে। এলাকার বেশীর ভাগ লোকজন সুজন মিস্ত্রীকে পছন্দ করেন না। আর সরেজমিনে কার্ত্তিক, নিতাই, হরিপদ, রমেন, বিপ্লব, সত্যেন প্রমুখরা জানান সামান্য কাপড় শুকানোকে কেন্দ্র করে এতকিছু। আর যদি জায়গার মালিক হলেতো এলাকার প্রতিবেশীরা ইন্ডিয়া পালিয়ে যেত। মারামারির ঘটনা নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করলেও এখন পর্যন্ত নেছরাবাদ থানায় কোন ধরনের মামলা হয়নি বলে থানার ডিউটি অফিসার জানান।