শতাব্দী রায়কে নিয়ে এখন ফুলে ফুলে উঠছে গুঞ্জন। ঘাস ফুলের সঙ্গে সম্পর্ক ঘুচিয়ে তিনি কি নতুন রাজনীতিক জীবন শুরু করবেন পদ্ম ফুলে? দুই শিবিরেই এখন এটা জোর আলোচনা। শোনা যাচ্ছে, এবার আর শতাব্দীকে লোকসভায় টিকিট দিতে উৎসাহী নন মমতা ব্যানার্জি। সেই খবর পৌঁছে গেছে নায়িকার কানে। তাই রাজনৈতিক জীবনে ছেদ না টেনে বরং নতুন ইনিংস খেলতে চাইছেন তিনি। তার সামনে সেই সুযোগ এনে দিতে চাইছেন তারই একসময়ের রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক মুকুল রায়। যিনি একফুল থেকে আর এক ফুলে এসে নিজের নতুন রাজনৈতি সংসার গুছিয়ে তুলতে চাইছেন। মুকুলে হাত ধরেই বেশকিছু ঘাস ফুল ফুটেছিল অতীতে। সেই সব ফুলের সামনে নতুন ফুলের হাতছানি তৈরি করছেন একসময়ের ঘাসফুলের সেনাপতি। ইতিমধ্যে সৌমিত্র খাঁকে নিজের দলে ভিড়িয়ে বেজায় চমক তৈরি করেছেন মুকুল। তাঁর শিবিরের দাবি, আরো কিছু চমকদার কার্ড লুকোনো আছে মুকুলের অস্তিনে। একে একে যখন ফেলতে শুরু করবেন তখন ঘাসফুলের মূর্ছা যাবার দশা হবে। সেই চমকদার কার্ডের একটা কি শতাব্দী?পাছে যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়, তাই প্রকাশ্যে ঝেড়ে কাষছেন না মুকুল বাহিনীর সদস্যরা। যারা ঘরের ভেতর ঘর তৈরি করে, নিজেদের ঘর গোছানোর প্যাজপয়জার কষছেন এখন। বীরভূম থেকে লোকসভা ভোটে লড়তে চান রুপালি পর্দার আর এক নায়িকা লকেট। এখন যদিও লাগাতার আন্দোলনের হাত ধরে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় গড়ে তুলেছেন তিনি। গত বছর তিনেক ধরে আদা-নুন খেয়ে বীরভূমের মাটিতে পড়ে আছেন লকেট। তার সেই চসা জমিতে কি শতাব্দী ফসল ফলাবেন? লকেট অবশ্য এই প্রশ্ন উড়িয়ে দিচ্ছেন মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে, বলছেন, বীরভূমে তিনি লড়বেন এমন বাসনা কোনওদিনই স্থান দেননি মনের কোণে। তাহলে? মুকুল শিবিরের ইঙ্গিত, অপারেশন সাকসেসফুল হলে শতাব্দীর জন্যই রাখা থাকবে বীরভূমের আসন।