নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া গ্রামে হিন্দু পরিবারের হরি মন্দির বেদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শত বছরের পুরনো মন্দিরে স্কুল পাড়ার ১০টি হিন্দু পরিবার পুজা অর্চনা করে আসছিলেন। কিন্তু গত বছর ঐ স্থানে আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তি দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে আবুল কালাম আজাদ জানান, সেখানে হিন্দুরা পুজা দিতো, কিন্তু কয়েক বছর থেকে বাদ দেয়ায় জায়গাটি পরিত্যক্ত ছিলো। এ কারণে ওই জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। Advertisement জানা যায়, ১৯৭৩ সালে ডাহিয়ায় পিজিডি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিদ্যালয়ে তৎকালিন হিন্দু ৯ শতকের মধ্য ৮ শতক জায়গা দেন। এক শতাংশ জায়গা পুজা করার জন্য দিয়ে দেন। পরবর্তীতে ওই স্থানে প্রতি বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পুজা করে আসছিলেন। সম্প্রতি জায়গাটি বেদখল হওয়ায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পুজা বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ডাহিয়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র জানান, আমার জন্মস্থান ডাহিয়া গ্রামে। জন্মের পর থেকে সেখানে পুজা করতে দেখে আসছি। গত বছর থেকে পুজা বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ গ্রামে প্রায় তিন’শ হিন্দু বসবাস করেন। জায়গাটি বেদখল হওয়ায় স্কুল পাড়ার হিন্দুদের পুজা অর্চনা বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় সাংসদ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তাপস কুমার জানান, বিষয়টি তিনি জানেন, দ্রুত দখলমুক্ত করতে তিনি প্রশাসন ও প্রতিমন্ত্রী পলকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।