বিপিএলের ষষ্ঠ আসর চট্টগ্রাম যাওয়ার আগে দুইশ’ ছাড়ানো ইনিংস দেখা গেছে মোটে একটি। চিটাগং ভাইকিংস গড়েছিল সেই ইনিংস। এবার তাদের দর্শক বানিয়ে ষষ্ঠ আসরের দ্বিতীয় দুইশ’ ছাড়ানো ইনিংস গড়লো রংপুর রাইডার্স। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে তুলল রেকর্ড ২৩৯ রান।
এমনিতে
বিপিএলে দুইশ’ রানের ইনিংস খুব একটা দেখা যায় না। চিটাগং-রংপুর ম্যাচের
আগে বিপিএল ইতিহাসে ১৫টি দুইশ’ ছাড়ানো ইনিংস দেখা গেছে। কিন্তু এবার হেলস
এবং রাইলি রুশোর দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে আগের সর্বোচ্চ রানটাকে বেশ পেছনে
ফেলে দিয়েছে।
এর আগে
বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২১৭ রানের। ২০১৩ সালের আসরে রংপুরের বিপক্ষে
ঢাকা তুলেছিল ওই রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানটাও ছিল ২০১৩ সালের। বরিশালের
বিপক্ষে রাজশাহী তুলেছিল ২১৩ রান। এবার রংপুর তুলল আগের সর্বোচ্চ রানের
থেকে আরও ২২ রান বেশি।
অথচ দুর্দান্ত এক দল নিয়েও এবারের আসরে রংপুরের অবস্থান খুব একটা ভালো ছিল না। আগের আট ম্যাচে মোটে চার জয়। অথচ গেইল-হেলস-ভিলিয়ার্সদের নিয়ে কি দুর্দান্ত দল তাদের। পয়েন্ট টেবিলে তারা আছে চারে।
কিন্তু রংপুরের তারকারা ফর্মে ফিরলে কি করতে পারে তা বুঝিয়ে দিল রংপুর। হেলসের সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাইলি রুশো। বিপিএলে একই ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির রেকর্ড এই প্রথম। আর টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে একই ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি পাওয়ার ঘটনা ঘটল তৃতীয়বার।
প্রথমটা ২০১১ সালে কেভিন ও’ব্রেইন এবং হামিশ মার্শাল গড়েন মিডলেক্সের বিপক্ষে। প্রথমে ব্রেইন করেন ১১৯ রান। পরে মার্শাল ১০২ রান করেন। দ্বিতীয়টি বিরাট কোহলি এবং ডি ভিলিয়ার্সের। তারা দু’জন আইপিএলে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলেন দুই সেঞ্চুরির ইনিংস। বিরাট করেন ১০৯ আর ভিলিয়ার্স ১২৯। গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ছিল তাদের ওই ইনিংস। আর তৃতীয়বার হেলস এবং রুশো দেখালেন ক্রিকেট বিশ্বকে।
বিপিএলে হেলস-রুশো মিলে ১৭৪ রানের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও গড়েছেন। আগের সর্বোচ্চ গেইল-ম্যাককুলামের ২০১ রান। এছাড়া শাহরিয়ার নাফিজ ও ভিনস্টের ১৯৭ আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
শুরুতে এ ম্যাচে গেইলকে হারায় রংপুর। এরপর হেলস-রুশো ঝড় তোলেন। ব্যক্তিগত একশ’ রান করে ফিরে যান হেলস। তার ব্যাট থেকে পাঁচটি ছক্কা এবং এগারোটি চারের মার বের হয়। তিনি ফিরে যাওয়ার পর ৫১ বলে একশ’ পূর্ণ করেন রুশো। ওই রানেই থাকেন অপরাজিত। দুই ব্যাটসম্যানই পুরোপুরি একশ’ রানের ইনিংস খেলেন। চলতি বিপিএলে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। আর বিপিএল ইতিহাসে ১৫তম। দারুণ ওই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে রুশো ছয়টি ছক্কা ও আটটি চার মারেন।