ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধর্ষণ মামলার ২নং আসামী নদমুলা গ্রামের আলম জোমাদ্দারের ছেলে সজল জোমাদ্দার (২৮) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ গতকাল শনিবার বিকেলে উদ্ধার করেছে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ। জানাগেছে,গতকাল শনিবার দুপুরে ভান্ডারিয়া- কাঠালিয়া সড়কের কাঠালিয়া থানার বলতলা গ্রামের একটি জমির উপরে পরে থাকা তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও কাঁঠালিয়া থানার ওসি এনামুল হক সাংবাদিকদের জানান, দুপুরে বলতলা গ্রামের একটি বাগানের পাশের জমির উপরে সজলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে। নিহতের গলায় সুতা দিয়ে ঝুলানো একটি চীরকুটে লেখা ছিল তাঁর নাম সজল। সে মাদ্রাসা ছাত্রী কারিমাকে ধর্ষণ করেছে এ কারণে তাঁর এই পরিনতি। খবর পেয়ে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিনি বলেন লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠী মর্গে পাঠানো হবে, রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভান্ডারিয়া ও কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ জানায়, গত ১২ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাড়ি থেকে পাশের হেতালিয়া গ্রামে নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে পানের বরজের ভেতর ধর্ষন করা হয়। এবং সে দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে মেয়েটির পরিবারকে হুমুক প্রদান করা হয়। যেন এ ঘটনা কাউকে না জানায় এবং কোন ধরনের মামলা না করে। পরে মেয়েটির পরিবার ও স্বজনরা পালিয়ে পালিয়ে থেকে ঘটনার ৩দিন পর গত ১৪ জানুয়ারি মেয়ের বড় ভাই বাদি হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় সজল ও রাকিব হোসেনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকেই সজল জোমাদ্দার নিখাঁঁজ ছিল বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছেন। নিহত সজলের পরিবার সাংবাদিকদের জানান ধর্ষিতার পরিবার আমার ছেলের নামে থানায় মামলা করেছে এবং মামলার ৭ দিন পরেই এ হত্যা কান্ডের এঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার সাথে ধর্ষিতার পরিবারই সম্পূর্ণ জড়িত। এছাড়াও ১নং আসামী রাকিব এর পিতা কামাল হোসেন বলেন আমার ছেলেও গতদিন ঢাকা সাবার নবীনগর থেকে নিখোজ রয়েছে। তাকেও পাওয়া যাচ্ছেনা।