বাংলাদেশে ভারত সরকারের অর্থায়নের ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সোমবার সকালে ঢাকার বারিধারায় ভারতীয় হাই কমিশনের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও উপস্থিত ছিলেন।
- # নুমালিগড় থেকে বাংলাদেশে তেল সরবরাহে সমঝোতা চুক্তি সই
- # অসমের ভেতর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগ চায় বাংলাদেশ
- # মেঘালয় হয়ে গোয়ালপাড়া-বঙাইগাঁও হয়ে ভুটানের গেলেফু হবে বাণিজ্য রুট
- # ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন
- # অসম হয়ে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ইন্টারনেট যোগাযোগ
- # ঢাকা-চেন্নাই-কলম্বো বিমান চলাচল, চট্টগ্রাম-কলকাতা-কলম্বো জাহাজ চলাচল, পঞ্চগড়-শিলিগুড়ি রেল যোগাযোগে ঢাকার প্রস্তাব
- # উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ আনার প্রস্তাব দিল্লির
৭২ কোটি টাকা ব্যয়ের এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, জল সরবরাহ এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে, যেগুলো বাছাই করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে।
এর মধ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় ফিরোজপুরের ভারিয়ায় ১১টি জল শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে, যেখানে লবণাক্ত জল শোধন করে দেড় লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মত সুপেয় জল উৎপাদন করা যাবে। একটি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন স্থানে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে।
ভারতীয় হাই কমিশন ইতোমধ্যে গুলশান ১ নম্বর থেকে বারিধারার কূটনৈতিক জোনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সোমবার তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন।
এ অনুষ্ঠানে দুই দেশের মন্ত্রীদ্বয়ের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং গ্যাসওয়েল কেনার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের এইচটিএম ও ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে। এর আওতায় খুলনায় একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় ১০ কোটি রুপি দেবে ভারত সরকার। আর দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারির মধ্যে।
এর আগে রবিবার ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক কমিশনের সভায় আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে নতুন প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। এর মধ্যে বাংলাদেশের তরফ থেকে ঢাকা-চেন্নাই-কলম্বো বিমান চলাচল, চট্টগ্রাম-কলকাতা-কলম্বো জাহাজ চলাচল, পঞ্চগড়-শিলিগুড়ি রেল যোগাযোগ, ভারতীয় ভূখন্ডের ওপর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে ইন্টারনেট যোগাযোগ, বাংলাদেশের নাকুগাঁও স্থলবন্দর থেকে মেঘালয় হয়ে অসমের গোয়ালপাড়া-বঙাইগাঁও দিয়ে ভুটানের গেলেফু স্থলবন্দরের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগের প্রস্তাব রয়েছে।
আর ভারতের তরফ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে আসার একটি প্রস্তাব দিয়েছে।
বৈঠকে নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে ভারত। এ ছাড়াও ত্রিপুরার পালাটানা থেকে ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করতে ভারত সম্মত হয়েছে।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...