হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবককে ধর্মান্তরিত ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই যুবকের পক্ষে হবিগঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলনও করা হয়েছে। এব্যাপারে বানিয়াচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বানিয়াচং উপজেলার সুনারু গ্রামের গোবিন্দ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী ইতি রাণী নন্দী। ইতি রাণী ধর্মান্তর ও প্রাণনাশের হুমকি পাওয়া যুবক সুমন্ত্র দাসগুপ্তের শাশুড়ি।
সংবাদ সম্মেলনে ইতি রাণী বলেন, ৬ ডিসেম্বর দুপুর ১টা ৭ মিনিটে বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার মেয়ের জামাই সুমন্ত্র দাসগুপ্তর মোবাইল ফোনে আরেকটি মোবাইল নম্বর থেকে জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তাকে মুসলমানি করিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেন। এঅবস্থায় সুমন্ত্র দাসগুপ্তের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনের অডিও শোনানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, গত ২ ডিসেম্বর সুমন্ত্র দাসগুপ্তের বাবা মারা যাওয়ায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বাড়ি থেকে বের হওয়ার বিধান না থাকায় তার পরিবর্তে ইতি রাণী নন্দী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইতি রাণী নন্দী ছাড়াও তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
তবে হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম বলেন, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলা থেকে বাঁচতেই এ ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর সুমন্ত্র দাসগুপ্তের শহরের কালীগাছ তলা এলাকার জনৈক প্রহ্লাদ কর্মকারের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে চিড়াকান্দি এলাকার পিন্টু দাস ও হরি দাসকে বাসায় আটকে রাখেন প্রহ্লাদ। বিষয়টি জানতে পেরে সুজন, শ্যামলসহ কয়েকজন তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমের ছোট ভাই সাইদুরসহ কিছু যুবক তাদের বাধা দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে প্রহ্লাদ কর্মকার রাতে সুমন্ত্র দাসগুপ্তসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করে।