দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমানকে দুটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেশাল জজ আদালত। একইসঙ্গে তার ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ রায় দেন। রায় ঘোষণা শেষে মসিউর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে, রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঝিনাইদহে হরতাল আহ্বান করেছে জেলা বিএনপি। সরকারপক্ষের আইনজীবী দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালের ৫ জুন মসিউর রহমান দুদকে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেন। প্রাথমিক তদন্তে সম্পদ গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ায় ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর তার নামে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর দুদক যশোরের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন তদন্তে ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পান এবং মসিউর রহমানের নামে ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ বিচারক দুর্নীতি দমন আইনের ২৬/২ ধারায় তাকে তিন বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৭/১ ধারায় সাত বছর ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া অর্জিত ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদীপক্ষ। অপরদিকে, ঝিনাইদহ বিএনপি রায় প্রত্যাখান করেছে। একইসঙ্গে রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় হরতাল আহ্বান করেছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।