হবিগঞ্জের মাধবপুরে ধর্ষর্ণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা আদিবাসী তরুণীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে রক্তক্ষরণে চা শ্রমিক রিতা মুন্ডা (২০) নামে এ
নিহত রিতা মুন্ডা (২০) উপজেলার রেঙ্গু টিলা এলাকার মৃত সমরা মুন্ডার মেয়ে। ধর্ষণের পর তিনি অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রিতার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সুরমা চা বাগানের শ্রমিকরা।
নিহতের মা অলকা মুন্ডা জানান, সুরমা চা বাগানের এমরান হোসেন নামে এক ব্যাক্তি প্রায় ১০ বছর আগে তার কিশোরী কন্যা রিতা মুন্ডা কে গৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা বলে উপজেলার কাশিমপুর গ্রামে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রথম দুই মাস মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারলেও এরপর নিয়মিত মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। গত ২৪ অক্টোবর সকালে রিতা মুন্ডাকে অসুস্থ অবস্থায় অপরিচিত দুই নারী একটি অটোরিক্সা দিয়ে রেঙ্গু টিলায় নিয়ে আসে। অসুস্থ অবস্থায় রিতা তার মাকে জানান, তাকে কাশিমপুরে ধর্ষন করা হয়। এক পর্যায়ে রিতা কয়েক মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে জোর পূর্বক তাকে গর্ভপাত করানো হয়।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে কোন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়নি। রিতার চিকিৎসার জন্য মা অলকা মুন্ডা সুরমা চা বাগান ১০ নম্বর ডিভিশনের চা বাগান পরিচালিত হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকের সহযোগী সন্তোষ মুন্ডা ও ধাত্রি মরিয়ম বেগম তার বাড়িতে যায়। কিন্তু রিতা চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক না হওয়ায় তারা তার কোন চিকিৎসা করেনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এমরান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুরমা চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গাফফার খান এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন।
গাফফার খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রিতার বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই। এ ব্যাপারে সুরতহাল প্রস্তুতকারী তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ(পুলিশ পরিদর্শক) খন্দকার সাইদ আহাম্মেদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোকতাদির হোসেন পিপিএম জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।