বুধবার রাতের কোন এসময় শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সদরের লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের বাইশধার পূর্বপাড়ার সার্বজনীন কালী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় মন্দিরের ভেতরে থাকা রক্ষিত ৫টি প্রতিমা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ এবং সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কালী মন্দিরের সদস্য চন্দন সরকার জানান, তার মামাত ভাই মানিক সরকার বুধবার রাত ১টা পর্যন্ত তার ফিশারী দেখাশুনা করার পর রাত তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে পূনরায় ফিশারী দেখার জন্য পুকুর পাড়ে গেলে দেখে পুকুর পাড়ের কাপড় শুকানোর বাশটি যথাস্থানে নেই। সে বাঁশ খুঁজতে গিয়ে পুকুর পাড়ের মন্দিরে দিকে গিয়ে দেখে বাঁশটি মন্দিরের ভেতর বাইরে পড়ে আছে।
এ সময় মন্দিরের ভেতর গিয়ে দেখে কলাপসিবল গেইটের ভেতর দিয়ে বাশে আংটা লাগিয়ে কে বা কারা বাহির থেকে বাশের আংটা দিয়ে মন্দিরে রক্ষিত ৫টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে। ভাংচুরকৃত মূর্তির মধ্যে রয়েছে ১টি বড় ও ১টি ছোট কালী মূর্তি, ১টি রাধা-কৃষ্ণ মূর্তি, ১টি গদাই মাদাই মূর্তি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল কাদের সুজা বলেন, ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি, আমাদের গ্রামে হিন্দু মুসলমানরা মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছে। বাতাসটাকে ভারী করতেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে দুস্কৃতিকারীরা দূরে থেকেই এ ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) আমীর তৈমুর ইলী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চুরি হলে কিছু নিয়ে যেতো। যেহেতু এখান থেকে কিছু খোয়া যায়নি সুতরাং উদ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে কেউ বা কোন গ্রুপের ঘটনাও হতে পারে। তবে যে বা যারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকুক না কেন? তাদেরকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।