৩১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ১২:১৩

বাবা ব্যস্ত মালিকের জমিতে, মালিক ব্যস্ত মেয়েকে ধর্ষণে!

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০১৯,
  • 319 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: রংপুর মহানগরীর পান্ডারদিঘি ধাপ কামারপাড়ায় একজন দিনমজুরের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যাকে ধর্ষণ করেছে মিন্টু রায় (৩২) নামে দুই সন্তানের জনক। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে থানায় মামলা করেছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে বিচার দাবি করেছেন। পুলিশ ঘটনাটি সালিস বৈঠকের নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠলে পরে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

মামলায় আসামি করা হয়েছে ধর্ষক মিন্টু, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়সহ চারজনকে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশের রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, রংপুর নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের ধাপকামারপাড়ার এক দিনমজুরকে একই এলাকার দুই সন্তানের জনক মিন্টু রায় গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে জমিতে ঘাস কর্তনের জন্য শ্রমিক হিসেবে নেয়।

বাবা জমিতে ঘাস কর্তন করতে থাকলে মিন্টু রায় ওই শ্রমিকরে বাড়িতে গিয়ে টিভি দেখারত অবস্থায় তার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ধর্ষক মিন্টু রায় দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই শিশুটির মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন।

ওসি বলেন, কাজ শেষে বাড়িতে এসে মেয়ে এবং প্রতিবেশীর মুখে ধর্ষণের ঘটনা শুনে পুলিশের কাছে যেতে চাইলে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা মীমাংসার দায়িত্ব নিয়ে কালক্ষেপণ করেন। বুধবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে ধর্ষক মিন্টু রায়, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা, ধর্ষকের শ্যালক সম্ভু রায়, টেংকু রায় ও প্রতিবেশী মেহেদুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেছেন।

ওসি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ধর্ষককে সহযোগিতার অভিযোগে ধর্ষকের শ্যালক সম্ভু রায়, টেংকু রায় ও মেহেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধর্ষক ও কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তার ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা বলেন, মিন্টু তার জমিতে আমাকে ঘাস কাটার কাজে লাগিয়ে দিয়ে আমারই বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এখন আবার আমাকেই মামলা তুলে নেয়ার জন্য কাউন্সিলর হারাধন, ধর্ষক মিন্টুর শ্যালক সম্ভু ও টেংকু রায় চাপ দিচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি ১৫ এপ্রিল ঘটেছে। দুই পক্ষই ১৬ এপ্রিল আমার কাছে এসেছিল। তখন আমি ছেলে পক্ষকে বলেছিলাম ছেলেকে হাজির করান, তারপর মীমাংসা। কিন্তু তারা আমাকে মামলাতে জড়িয়েছে। এটা ঠিক নয়।

এদিকে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। গত বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম থানায় ঘেরাও করে রাখে। একপর্যায়ে এলাকাটি কোতোয়ালি থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে এলাকাবাসী কোতোয়ালি থানায় এলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করে তিন সহযোগীকে আটক করে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »