বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের এক হিন্দু ধর্মালম্বী পরিবারের উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ র্মাচ শুক্রবার দুপুর ২ ঘটিকার সময়।
স্থানীয় লোকদের কাছে জানতে চাইলে নাম না প্রকাশের সত্বে কয়েকজন বলেন, বেশ কিছুদিন পূর্ব হতেই স্থানীয় দক্ষিন হোসনাবাদের মোঃ সিদ্দিক (৩০) পিতা মোঃ নাজেম মুন্সী তাদের সাথে নির্যাতিত একই গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র বেপারী (৭৫) এর সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।
তবে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তির্বগ বেশ কিছুবার সালিশী ব্যাবস্থার মাধ্যমে মিটমাট ও করেছে তবে তাতে অভিযুক্ত সিদ্দিকের কোন জমি ছিল না মিথ্যা হয়রানীই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য ।
আর তারই জের ধরে গত শুক্রবার দুপুর ০২ ঘটিকার সময় সিদ্দিক মহেন্দ্র বেপারী ও তার স্ত্রীর উপর উদ্দেশ্য মুলক কথা কাটাকাটির মাধ্যমে অমানুষিক, অশ্লীল নির্যাতন চালায় ।
নির্যাতিত
মহেন্দ্র চন্দ্র দাস এর বড় ছেলে জগদীশ চন্দ্রের কাছে এমন ঘটনার বিবৃতি
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলে জীবিত থাকতে তার বাবা মাকে যদি বাহিরের লোকের
কাছে মার খেতে হয় ও মায়ের সাথে অশ্লিল আচারন করা হয় তবে এর চেয়ে কষ্ট ও
লজ্জ্বা আর থাকে না তবে কি হিন্দু হয়ে জন্ম নেওয়াটাই বড় অপরাধ ?
তার বক্তব্যনুযায়ী ঐ রাতেই তারা প্বার্শবর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে জান এবং তাদেও শারিরিক অবস্থা খুবই খারাপ দেখে দায়িত্ব
প্রাপ্ত অফিসার তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন।
তিনি আরো বলেন, দিন আনি দিন খাই প্রত্যেক দিন খাবার ও ঔষধ সহ মোট প্রায় ১৮০০ টাকা দরকার হয় কি দিয়া যে কি করমু মাথায় আসে না ।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত মহেন্দ্র ও তার স্ত্রী আকুলী রাণীর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, প্রথমে মহেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন প্রথমে আমারে সিদ্দিক ধাক্কা দিয়া রাস্তার পাশে ফালাইয়া দেয় তারপর রাস্তার পাশে চেপে ধরে লাথি, ঘুষি মারে শরিরের এমন কোন যায়গা নাই যেখানে লাঠি দিয়া না পিটাইছে, মাথা আর ঘার লাড়াইতে পারি না আমার পরনের লুঙ্গি প্রর্যন্ত ছিড়ে গেছে ঐ নরপিশাচ আমার বৃদ্ধা স্ত্রীকেও ছাড় দেই নি।
এরপর
নির্যাতিত আকুলী রাণী জানান, প্রচন্ড ব্যাথায় হাত পা রাড়াইতে পারি না,
আমার শরিরের এমন কোন যায়গা নাই যেখানে ও হাত না দিছে আমার কাপড় ও শরিরের
লজ্জা ঢাকার ব্লাউজ প্রর্যন্ত ছিড়ে দিছে সাথে ওর মা ও ছিল সাথে আরো অনেক
লজ্জ্বার কথা আছে এই বলে মহিলা কেঁদে দেয় এবং বলে যদি আপনাদের বিশ্বাস না
হয় তবে রাস্তায় দাড়ানো নিতাই ধোপার বউ ছবি সহ আরো অনেক লোকজন ছিল
জিজ্ঞাস করে দেইখেন।
নির্যাতিত বৃদ্ধ বৃদ্ধা বলেন আমরা এই নরপিশাচ সিদ্দিক এর এমন অপকর্মের সঠিক
বিচার চাই, দেশে কি আইন কানুন কিছু নাই? সুস্থ হয়েই আমরা আইনের আশ্রয়
নিব। আমরা হিন্দু কল্যান মন্ত্রনালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপসহ
দৃষ্টি কামনা করছি।
নির্যাতিত বৃদ্ধ বৃদ্ধার পুত্রবধু বিথী রাণী জানান, বেশ কিছুদিন আগে আমাদের এলাকার পাশেই এক হিন্দু মহিলা শিক্ষিকা কে ধর্ষণ করা হয়, এই হলো আমাদের সমাজব্যাবস্থা। বিথী আরো বলেন, আমরা ভয়ের কারনে এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। তাছাড়া আমরা ভয়ের কারনে এতদিন কারো কাছে বলি নাই এমনকি থানায় প্রর্যন্ত ও যাই নাই। আমরা সরকারের কাছে সহায়তা চাই ও আইনের কাছে নিরাপত্তা চাই।
কে এই সিদ্দিক?
বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিন হোসনাবাদ গ্রামের মোঃ নাজেম
মুন্সীর ছেলে এই সিদ্দিক(৩০) পেশায় একজন ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক । কিন্তু
পেশার অগচরে রয়েছে নানা ব্যাবসা। যে ব্যাবসা চলে সকলের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
একদিকে থানার অস্বাধু দালালী, মাদক ব্যাবসার আদান প্রদানের বাহক, এলাকায় জুয়া খেলা ও জুয়ারীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনের আনাগোনার তথ্য ফাঁস করে দেওয়া, আবার আনেক সময় টাকার বিনিময়ে আসামীদের কাছে পুলিশের খবর পৌছে দেওয়াই হলো এই সিদ্দিক নামক ব্যাক্তির প্রধান কাজ। এলাকায় গোপন ভাবে খোঁজ নিলে জানা যায় এই সিদ্দিক সকলের সাথে সর্বদা খারাপ আচারন করেন।
এবং নির্বাচন আসলে রাজনৈতিক মহলের সাথে ঘুরে বেড়ায় এই হলো তার ক্ষমতা নামক উৎস