সারা দেশে মহামারী আকারে ধর্ষণ, হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, বাড়ী ঘর, মঠ মন্দির প্রতিমা ভাংচুর, জমি দখল, গাছে বেঁধে নির্যাতন, দেশ ত্যাগে বাধ্যকরন ও হুমকীর প্রতিবাদে ও আসামীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচার পূর্বক শাস্তির দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
অদ্য ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
হিন্দু মহাজোট ঢাকা জেলার সভাপতি অ্যাডঃ উজ্জ্বল কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি বরুন সেন, সাধারণ সম্পাদক গোপাল পাল, হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাড দীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহ সভাপতি ডাঃ এম কে রায়, প্রদীপ পাল, মিঠুরঞ্জন দেব, মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সাংগঠণিক সম্পাদক অধ্যাপক সুব্রত দাস, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক রিপন দে, মহিলা মহাজোটের সভাপতি প্রীতিলতা বিশ্বাস, নির্বাহী সভাপতি দেবী হালদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ লাকি বাছাড়, সাংগঠণিক সম্পাদক পূর্ণিমা শীল, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি আ্যাডঃ রণি ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ, যুব মহাজোটের সভাপতি কিশোর বর্মন, নির্বাহী সভাপতি প্রদীপ শঙ্কর, সিনিয়র সহ সভাপতি অপূর্ব কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী প্রশান্ত হালদার, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার মাহাতো, সাংগঠণিক সম্পাদক প্রদীপ সরদার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি নিউটন পন্ডিত, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বারুরী প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার গোয়ালখালী গ্রামের সেতু মন্ডলকে গত ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে নয়টায় স্কুলে যাওয়ার পথে বকাটে মোঃ সোহেল, পলাশ সহ ৩ জন চেতনা নাশক রুমাল চেপে অচেতন করে কদমতলী এলাকার একটি বাড়ীতে গিয়ে সারারাত গণধর্ষন করে পরদিন রাস্তায় ফেলে যায়। পরে অপমানিত হয়ে সেতু মন্ডল আত্মহত্যা করে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে সুনামগঞ্জের তাহেরপুরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বিক্রমপুর, চট্টগ্রাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, বান্দরবানে জমি ও বাড়ী দখল সহ অর্ধ শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। গাইবান্দায় আদিবাসী রবিবদাস সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘরে হামলা ও হত্যার উদ্যেশ্যে কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কাদাকাঠী ও খড়িয়াডাঙ্গায় প্রায় ডজন পরিবারের সম্পত্তি দখল ও দেশ্য ত্যাগে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়েছে। বান্দরবন ও জামালপুরে দুই জন মহিলাকে গাছের সংগে বেঁধে নির্যাতন করে জমি দখল করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কিশোরী অপহরণ হয়েছে কিন্তু পুলিশ ভিকটিম উদ্ধারে ও আসামী গ্রেফতার হচ্ছে না। চট্টগ্রামে বৃদ্ধ শিক্ষকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জমি লিখে নেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর হিন্দু সম্প্রদায় এমন অরাজক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি।
বক্তাগণ বলেন প্রশাসনের উদাসীনতা ও বিচারহীনতার কারনেই দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন মহামারী আকার ধারণ করেছে। সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাহাকার আর আর্তচিৎকারে বাংলার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। অরাজকতা এমন পর্যায়ে পৌচেছে যে দেশ একটা মৎস্যন্যয় অবস্থা বিরাজ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দুষ্কিৃতিকারীরা হিন্দু সম্প্রদায়কে দেশ্যত্যাগে বাধ্য করছে। বহু মানুষ বাড়ীঘর ছেড়ে অন্যত্র বাস করছে। পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে। মামলা নিলেও আসামী গ্রেফতার হচ্ছে না। স্বাধীন দেশের এই বেহাল অবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায় আজ চরম হতাশায়। নিরবে অশ্রু বিষর্জন করে হিন্দু সম্প্রদায় দলে দলে দেশ্যত্যাগ করছে। বক্তাগণ সেতু মন্ডল ধর্ষনকারীদের ফাাঁসী সহ অবিলম্বে সকল ঘটনার আসামীদের গ্রেফতার ও শাস্তি বিধানের দাবী করছে; অন্যথায় সারা দেশে ব্যপক কর্মসূচী গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।