পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে এসে খুন হলো জীবন বেপাড়ি নামের এক শিক্ষার্থী। আজ রবিবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার সদর ই্উনিয়নের গোসিংগা গ্রামের মিন্টু মৃধা (৪২) নামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জীবন দশমিনা উপজেলার সাংকিপুরা গ্রামের জিতেন্দ্র বেপাড়ির ছেলে। সে উলানিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। জীবন গলাচিপার উপজেলার উলানিয়া গ্রামে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করত।
পুলিশ এবং নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিকালে জীবন বাউফলের গোসিঙ্গা গ্রামে তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে আসে। প্রেমিকার সাথে দেখা করে ওই দিন গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিল জীবন। বাড়ি ফেরার সময় ওই গ্রামের বাসিন্দা মিন্টুর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় মিন্টু তাকে সন্দেহজনক ভাবে বেধরক মারধর করলে মিন্টুর বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ মিন্টুর মারধরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ভোরে ওই যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে তারা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে। আর সকালে তার মৃত্যু হয়। তার মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় চৌকিদার মো. নুরুল ইসলামের ভাষ্য, সকালে মিন্টুর বাড়ির উঠানে ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বলেন, ওই যুবককে তিনি দু-একটা পিটুনি দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি পালিয়ে যান।
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান বলেন, যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশের পরিচয় জানতে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত হবে। মিন্টুকে ধরার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, মিন্টু ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি রাজিয়া দুই কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন। তিনি এখন জেলা কারাগারে আছেন। ঘটনার বিষয়ে মিন্টু বা তার কোনো স্বজনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।