পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। ভিসার
মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে
পাকিস্তান অস্বীকৃতি জানানোয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা না দেওয়ারও
হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস
ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তবে
নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও পাকিস্তানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের
কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র এ তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে দশম দেশ হিসেবে পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা
জারি করল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালেই আটটি
দেশকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাকিস্তান ছাড়া নিষিদ্ধ হওয়া বাকি দেশগুলো হলো
গায়ানা, গাম্বিয়া, কম্বোডিয়া, ইরিত্রিয়া, গিনি, সিয়েরা লিওন, মিয়ানমার,
লাওস ও ঘানা। এর মধ্যে ঘানা ও পাকিস্তানের ওপর ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি
করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২৪৩ (ঘ) ধারা অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ও নির্বাসিত নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায় কিংবা এ ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে, তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করতে পারবেন।
নতুন এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক হাইকমিশনার হুসাইন হাক্কানি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানি নাগরিকদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের যেসব নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান কিংবা যাওয়া দরকার, এই সিদ্ধান্তের পর তাঁদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। পাকিস্তান সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান উপেক্ষা না করত, তাহলে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যেত।
১৯৯৬ সালে আইনটি প্রবর্তন করা হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আইনটির প্রয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষমতায় আসার পরপরই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, যে দেশগুলো তাদের নির্বাসিত ও ভিসার মেয়াদ না থাকা নাগরিকদের ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেবে তাঁর সরকার।