সমাজে সম্প্রীতির বার্তা দিতে বিয়ের কার্ডে রাম-সীতার ছবি ছাপাল মুসলিম পরিবার। যা প্রশংসা কুড়াতে শুরু করেছে সর্বত্র।
উত্তর প্রদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ জেলা সাহারণপুর। ওই জেলার ছিলাওয়া গ্রামের হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের লোকেরাই বসবাস করে। জাতীয় রাজধানী দিল্লি থেকে ওই গ্রামের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। সেখানেই ঘটেছে এই ঘটনা।
মেয়ের বিয়ের কার্ডে রাম-সীতার ছবি ছেপেছে মুসলিম পরিবার। সমাজে সাম্প্রদায়িকতার বিষ খতম করতে এবং সম্প্রীতির বার্তা দিতে এটা একটা ছোট্ট প্রয়াস বলে দাবি করেছে ওই পরিবারটি।
ছিলওয়া গ্রামে সব ধর্মের লোকেরা মিলেমিশেই থাকে। এর মাঝে কোনও বিভেদ যেন না হয়। এটাই লক্ষ্য পাত্রী রুকসার বেগমের মা বেবির। সেই লক্ষ্যেই মেয়ের বিয়ের কার্ডে হিন্দু দেবদেবীর ছবি ছাপানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের গ্রামে হিন্দু এবং মুসলিম সব সম্পরদায়ের লোকেরা বসবাস করে। আমরা সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাইছি। ধর্মের ভিত্তিতে আমাদের যেন কেউ আলাদা করতে না পারে।”
গ্রামবাসীরা এই উদ্যোগকে বিশেষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। সকল ধর্মের মানুষই সাদরে গ্রহণ করেছেন এই সম্প্রীতির উদ্যোগ। নিমন্ত্রণপত্র গ্রহণের ক্ষেত্রেও দকলে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাত্রীর দাদ মহম্মদ উমর। তাঁর মতে, “আমাদের কার্ড গ্রামের সবার খুব পছন্দ হয়েছে। ঐক্য নিয়ে মানুষের এই উৎসাহ দেখে খুব ভালো লাগছে।”
গত কয়েক বছরে দেসের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর মিলেছে। সর্বাধিক অভিযোগ এসেছে উত্তর প্রদেশ থেকেই। ওই রাজ্যেই ঘটে গিয়েছিল দাদরির ঘটনা। আখলাকের মৃত্যু নিয়ে আজও সমালোচনা চলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই অবস্থায় নয়া নজির গড়ল উত্তর প্রদেশের সাহারণপুরের ছিলাওয়া গ্রামের এই পরিবার।