বগুরা জেলার সোনাতলা থানার হাঠকলমজা বাজারে গত সোমবারে রাত আনুমানিক ৯-৩০ এর দিকে রবি দাসের মেয়ে প্রতিমা রানী (১৫) কে অপহরন করেছে মোঃ লিজু মিয়া ।
বিষয়টি জানার পর ঘটনাটি তদন্ত করেন বাংলাদেশ মাইনোরেটি ওয়াচ বগুড়া জেলা কমিটি। বিকাশ কর্মকার সভাপতি জেলা কমিটি ,ডাঃ বিপুল সাহা সাধারন সম্পাদক জেলা কমিটি, মনোরঞ্জন ,ধিরেন্দ্র নাথ সরকার ৷সরেজমিনে গিয়ে জানা গেল, রবি দাসের মেয়ে কুমারি প্রতিমা রানী(১৫) শাখাহাতী ইউনাইটেড উচ্ছ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে লেখা পড়া করছে ।
বেশকিছু যাবৎ একই এলাকার মোঃ বেলাল হোসেনের ছেলে মোঃ লিজু মিয়া প্রায়ই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং প্রতিমা রানী প্রত্যাখ্যান করত। তারপরেও মোঃ লিজু মিয়া থেমে থাকেনি! ৷ এরপর আবারো প্রস্তাব দিলে প্রতিমা রানী মোঃ লিজু মিয়াকে সাবধান করে ত্রবং বাড়িতে এসে তার বাবাকে বিষয়টি বলে দেয় ৷
প্রতিমার বাবা বিষয়টি শোনার পর লিজুর বাবাকে বিষয়টি জানালে লিজুর বাবা প্রতিমার বাবাকে বলে যে ,আমি আমার ছেলেক শাষন করবো। এতে মোঃ লিজু আরও রাগান্বিত হয়ে সুযোগ খুঁজতে থাকে। এর এক পর্যায়ে গত ২২/৪/২০১৯ রাত অনুমান ৯ ঘটিকার সময় রবি দাস (পেশায় ওয়েলডিং শ্রমিক) অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিমার মা শ্যামলি তার স্বামী রবি দাসকে নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি এসে দেখে তার আরেক মেয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে! বাবা মাকে দেখে মেয়ে হাউমাউ করে কেঁদে বলে বড় বোন প্রতিমাকে লিজু মিয়া সহ আরও চারপাঁচ জন বন্ধু এসে তুলে নিয়ে চলে গেছে ৷ ঐ কথা শোনার পর খুব দ্রুত চলে যান প্রতিমার বাবা লিজুর বাবার কাছে। গিয়ে তার মেয়েকে ফেরৎ চাইলে তারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে মিথ্যা অভিযোগ করছেন কেন!!!
একদিন পার হলেও মেয়েকে ফেরৎ না পেয়ে বাংলাদেশ মাইনোরেটি ওয়াচ বগুড়া কমিটির কাছে তার মেয়েকে ফেরৎ ও ন্যায়বিচার দাবি করে। বাংলাদেশ মাইনোরেটি ওয়াচের প্রেসিডেন্ট ত্র্যাডভোকেট রবিন্দ্র ঘোষ এর সহযোগিতায় বগুড়া জেলার সোনাতলা থানায় গত ২৬/৪/২০১৯ তাং নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করে থানা পুলিশ৷
ধারা ৭/৩০ ২০০০ এ বিষয়ে ওসি সাহেব আবদুল্লাহ আল মাছুদ জানান অতি অল্প সময়ের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতার করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মানবাধিকার প্রতিনিধি দলকে বলেন।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ উক্ত ঘঠনার তীব্র নিন্দা করেন। জোর পূর্বক অপ্রাপ্ত বয়সের হিন্দু শিক্ষাথী কে ইসলামে পরিনত করার এহেন কর্মকাণ্ড কে forceful conversion হিসাবে মনে করছেন। অনতি বিলম্বে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পিতা মাতার নিকট হস্তান্তর করা হউক, আসামীদের গ্রেফতার করা হউক আইনের আওতায় শাস্তি প্রদান করা হউক।