পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কায় আতঙ্কবাদী হামলা হওয়ার পর থেকেই। শ্রীলঙ্কার মুসলিমদের উপর আক্রোশ দেখাতে শুরু করেছে স্থানীয় বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টানরা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যে মুসলিমরা রয়েছে তাদের হয়ে কিছু এন জি ও সংস্থা সংযুক্ত রাষ্ট্রের কাছে পৌঁছে গেছে। তারা অনুরোধ জানিয়েছে যে অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের অন্য দেশে পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা হোক এবং সুরক্ষিত শ্রীলঙ্কা থেকে বের করে আনা হোক। বহু মুসলিম এবার ভারতে প্রবেশ করতে পারে শ্রীলঙ্কায় বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ভারত শ্রীলঙ্কার সবথেকে কাছের দেশ ।শ্রীলঙ্কার সরকার ও সেনা দেশ জুড়ে সার্চ অপারেশন করছে শ্রীলঙ্কার জনগণের আক্রোশ দেখে।আতঙ্কবাদীদের একটা সম্পূর্ণ ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। ওই ঘাঁটিতে পনেরো জনের মতো আতঙ্কবাদী লুকিয়ে ছিল। পনেরো জন আতঙ্কবাদীকেই শেষ করে দেওয়া হয়েছে অপারেশনে। এখন শ্রীলঙ্কা থেকে আরো একটা খবর সামনে আসছে। খবর অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার সেনা ও পুলিশ সন্দেহজনক মসজিদগুলিতে ছাপা দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কার সেনা হানা দিয়েছে কলম্বোর প্রধান মসজিদেও। শ্রীলঙ্কার ওই মসজিদ থেকে ব্যাপক পরিমানে অস্ত্রসস্ত্র পায় ছাপা দেওয়ার পর। পুলিশ মসজিদের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও গ্রেপ্তার করে। ঘটনায় শ্রীলঙ্কার সরকারের সাথে সাথে পুরো শ্রীলঙ্কাবাসী হতবাক হয়েছে। কারণ ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে মসজিদ থেকে ষড়যন্ত্র চলছিল সেটার ধারণা কারোর ছিল না। মসজিদে আত্মঘাতী হামলার জ্যাকেট থেকে শুরু করে ৪৭ টি তরোয়াল, পনেরো টি কুড়াল মিলেছে। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, ওই মসজিদে বাইরের কোন মুসলিম ইবাদত করতে যেত না। শ্রীলঙ্কার হাজার হাজার মুসলিমরা ওই মসজিদে ইবাদতে অংশ নিত। কিন্তু এতদিন অবধি কেউ গোপন অস্ত্রশস্ত্রের কথা সরকার বা পলিশকে জানায়নি। মসজিদ থেকে অস্ত্র পাওয়ার পর পুলিশ মুখ্য ইমামকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে বলে সূত্রের খবর।