জাপানের সম্রাট আকিহিতো নিজের পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন। জাপানি বর্ষপঞ্জি গণনার রীতি অনুযায়ী আকিহিতোর বিদায়ে একটি যুগেরও অবসান হলো। বিবিসি।
বিদায়ী বক্তব্যে ‘মানবতার সম্রাট’ আকিহিতো বলেন, ‘গত ত্রিশ বছর ধরে পুর্ণ সম্মানের সঙ্গে মানুষকে ভালোবেসে দায়িত্ব পালন করেছি। এটি করতে পারা আমার জন্য আশির্বাদ।’
আকিহিতো জাপানের মানুষের প্রতি অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দেশের ‘জাতীয় প্রতীক’ হিসেবে গ্রহণ ও সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
গত দুইশ’ বছরে প্রথমবারের মতো দেশটির কোনো সম্রাট মৃত্যুর আগেই সিংহাসন ছেড়েছেন। এর আগে ১৮১৭ সালে এক সম্রাট ছেড়েছিলেন। কাল পহেলা মে থেকে শপথ নিচ্ছেন তার পুত্র যুবরাজ নারুহিতো। যদিও তিনি অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন।
২০১৬ সালের আগষ্টে আকিহিতো (৮৫) জানিয়েছিলেন, তার স্বাস্থ্য ভাল নয়, বয়সও হয়েছে। তাই তিনি আগেভাগেই সিংহাসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। পরে তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে জনগন। পার্লামেন্টেও অনুমোদিত হয়।
আকিহিতোর দুই সন্তানের মধ্যে নারুহিতো বড়। নারুহিতো (৫৯) অক্সফোর্ডে পড়ালেখা করেছেন। তিনি টেমস নদীর ওপর গবেষণাপত্রও লিখেছেন।
জাপানি পঞ্জি অনুযায়ী সম্রাট বদল হলে নতুন যুগের সূচনা হয়। প্রত্যেক সম্রাটের রাজত্বের একটি নাম আছে যেটি খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জির পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়।
নতুন সম্রাটের রাজত্বের নাম ঘোষণা করা হয়েছে ‘রেইওয়া’, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘শৃঙ্খলা এবং শান্তি’। এই প্রথমবারের মতো জাপানের একটি প্রাচীন কবিতা থেকে নামটি নেওয়া হয়েছে। এর আগে সম্রাট আকিহিতোর যুগের নাম ছিল ‘হেইসেই’, যার অর্থ ‘শান্তি অর্জন’।