২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৩:০৮

বরিশালে ব্রাক অফিসের পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ!

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০১৯,
  • 293 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

বরিশাল:: বরিশালের হিজলা উপজেলার ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীকে (২৬) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন এক নারী। বুধবার রাতে হিজলা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।

অভিযুক্ত মো. মিলনের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। তিনি হিজলা উপজেলায় ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা কেন্দ্রের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগকারী ওই নারীর বাড়ি হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের চরকিল্লা গ্রামে।

ওই নারী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ সালে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়ায় আইনি সহয়তা নিতে ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যান এবং অভিযোগ দেন। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে চলে সমাধানের চেষ্টা। ২০১৮ সালে ওই অফিসে যোগ দেন মো. মিলন। তার সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। মিলন তখন বিভিন্ন আইনি পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। ২০১৮ সালের একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে ওই নারীর।

এরপর হিজলা উপজেলার ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা কেন্দ্রে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাকরি পান ওই নারী। চাকরি পাওয়ার পর থেকে মিলন বিভিন্নভাবে ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিতেন। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে ব্র্যাক অফিসের একটি কক্ষে ওই নারীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন মিলন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মিলন চাকরি থেকে তাকে ছাঁটাই করে দেন।

তখন মিলনের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানা, সার্কেল এসপি অফিসে যান ওই নারী। মিলন তা টের পেয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ এপ্রিল বিকেলে মিলন উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ওই নারীকে ফোন করে ডেকে আনেন। সেখানে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক দিয়ে ওই নারীকে মারধর করেন মিলন। এরপর তিন বখাটের হাতে তুলে দিলে তারা পাশের বিলের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে ওই নারীকে গণধর্ষণ করে।

ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, কিছুটা সুস্থ হয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ দেই। তখন হিজলা থানা পুলিশের ওসিকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।

এ বিষয়ে হিজলা উপজেলার ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা কেন্দ্রের পরামর্শ কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, ওই নারীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। এলাকার বেশিরভাগ মানুষই জানেন ওই নারী চরিত্রহীন। তার কাজ হলো বিভিন্ন জনকে মামলায় ফাঁসানো। মিথ্যা অভিযোগ করা সহজ। তবে মিথ্যা সত্য প্রমাণ করা সহজ নয়।

হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, আইনি সহায়তা কেন্দ্রের পরামর্শ কর্মকর্তা (পিও) মো. মিলনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমার সেটি যাচাই-বাছাই করছি।’

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »