এস এন পলাশ।।
নলছিটি উপজেলার মেয়ে শামিমা হিরা, বর্তমানে হিরা ওরফে ডায়মন্ড দিদি নামে পরিচিত বরিশাল নগরীতে। বরিশাল নগরের ডায়াবেটিস হাসপাতালের রেন্ট বিভাগে চাকরি করলেও সেটা ছিলো ভাওতাবাজি। অন্ধকার জগতে রয়েছে তার আসল রূপ। ইয়াবায় আসক্ত হিরা বেশ চতুরতার সাথে মাদক বাণিজ্য, পতিতাবৃত্তি, ফিটিং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। গত মাসে নগর গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পরে বহুবিধ নষ্টামির হোতা ডায়মন্ড দিদি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল নগরীর বটতলা বাজার সংলগ্ন গল্লির চারতলা ভাড়া বাসায় থাকতো হিরা। সেখানে দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যাচ্ছিল মাদক বাণিজ্য, পতিতাবৃত্তি, ফিটিং দিয়ে পুরুষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ। ডায়মন্ড দিদির ফাঁদে পা দিয়ে বহু পুরুষের নিঃস্ব হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে অনেক।
গোপন সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে হিরার ভাড়া বাসা থেকে চারজনকে আটক করে
ডিবির এসআই দেলোয়ার (পিপিএম)। আটক চারজনের দু’জন নারী ও দু’জন পুরুষ। সে
সময় বাসা তল্লাশী করে পাওয়া যায় ইয়াবা, যৌন উত্তেজক ঔষধ ও বিপুল পরিমান
কনডম। এ ঘটনায় এসআই দেলোয়ার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় আদালতে তাদের প্রেরন করেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি হয়ে হিরা
আবারো আগের রূপে ফিরেছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। নগরীর আমতলার
মোরে বাসা ভাড়া নিয়ে পুনরায় শুরু গড়ে তুলেছে অপকর্মের সাম্রাজ্য। সেখানেও
মাদকের বেচা-কেনা, মাদক সেবন, পতিতাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছে হরদমে। এই ডায়মন্ড
দিদির পাল্লায় পরে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। আর স্কুল -কলেজগামী মেয়েদের নানা
প্রলোভন দেখিয়ে অন্ধকার জগতে প্রবেশ করাচ্ছে হিরা ওরফে ডায়মন্ড দিদি। তার
এহেন কর্মকাণ্ডের লাগাম না টানতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ আশা করছে
ভুক্তভোগীরা।